ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪০ টেন্ডারবাজ গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪২০ বার

চট্টগ্রামে বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগের লাগাম টেনে ধরতে চায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৪০ টেন্ডার ও চাঁদাবাজ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান জানান, বুধবার ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের চারটি জোনের অর্ধশতাধিক সদস্য সিআরবি এলাকার দু’টি বস্তি, এনায়েত বাজার, গোয়ালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। আটক হয় ১২ জন। এর মধ্যে ইকবাল উদ্দিন রানাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ জানান, সিআরবির কাঠের বাংলোসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন ১ নভেম্বর সিআরবি সংঘর্ষের মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে টেন্ডার এবং আধিপত্য নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘাত গত দুই বছর ধরে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চলে আসছে এ সংঘাত। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়েছিল দুই গ্রুপ। এতে দু’জন নিহত হন। নিহতরা হলেন যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান।
১২ অক্টোবর দুপুরে সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে উভয় গ্রুপে মধ্যে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়। এরপর হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর গ্রুপের এবং সাইফুল আলম লিমন গ্রুপ নগরীতে পাল্টাপাল্টি শোডাউন করেছিল। সর্বশেষ ১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিআরবিতে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন আহত হয়। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং লিমনকে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গ্রেফতার করা হলেও কয়েক মাসের মাথায় তারা জামিনে মুক্তি পান। আবারো তারা টেন্ডারবাজিতে যুক্ত হয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি এখন হিমাগারে। দুই বছরেও রাজনৈতিক চাপে চার্জসিট দিতে পারেনি সিএমপি পুলিশ। সারাদেশে তোলপাড় করা ওই ঘটনার পর হেলাল আকবরকে যুবলীগের সদস্য থেকে এবং সাইফুল ইসলাম লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে যুবলীগে ফিরিয়ে এনে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। তবে লিমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেনি ছাত্রলীগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪০ টেন্ডারবাজ গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রামে বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগের লাগাম টেনে ধরতে চায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৪০ টেন্ডার ও চাঁদাবাজ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান জানান, বুধবার ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের চারটি জোনের অর্ধশতাধিক সদস্য সিআরবি এলাকার দু’টি বস্তি, এনায়েত বাজার, গোয়ালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। আটক হয় ১২ জন। এর মধ্যে ইকবাল উদ্দিন রানাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ জানান, সিআরবির কাঠের বাংলোসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন ১ নভেম্বর সিআরবি সংঘর্ষের মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে টেন্ডার এবং আধিপত্য নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘাত গত দুই বছর ধরে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চলে আসছে এ সংঘাত। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়েছিল দুই গ্রুপ। এতে দু’জন নিহত হন। নিহতরা হলেন যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান।
১২ অক্টোবর দুপুরে সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে উভয় গ্রুপে মধ্যে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়। এরপর হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর গ্রুপের এবং সাইফুল আলম লিমন গ্রুপ নগরীতে পাল্টাপাল্টি শোডাউন করেছিল। সর্বশেষ ১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিআরবিতে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন আহত হয়। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং লিমনকে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গ্রেফতার করা হলেও কয়েক মাসের মাথায় তারা জামিনে মুক্তি পান। আবারো তারা টেন্ডারবাজিতে যুক্ত হয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি এখন হিমাগারে। দুই বছরেও রাজনৈতিক চাপে চার্জসিট দিতে পারেনি সিএমপি পুলিশ। সারাদেশে তোলপাড় করা ওই ঘটনার পর হেলাল আকবরকে যুবলীগের সদস্য থেকে এবং সাইফুল ইসলাম লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে যুবলীগে ফিরিয়ে এনে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। তবে লিমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেনি ছাত্রলীগ।