ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসে ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে কথা বললেন মোদি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করা হলো সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক ধাপ অগ্রগতি। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ উপলক্ষে রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থিত রেড ফোর্টে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

এ সময় জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তার সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তার ভাষায়, মাত্র ১০ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃষ্টি দিয়েছে। জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য তারা আমাদেরকে আবার ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সব সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি।

এর মধ্যে রয়েছে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ। তিন তালাক বন্ধ করা, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে পদক্ষেপ নেয়া। তিন তালাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের মুসলিম বোনদের ন্যায়বিচার দিয়েছি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার সরকার সমস্যা সৃষ্টি করা বা তা খুঁড়ে খুঁড়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টিতে বিশ্বাসী নয়। তার ভাষায়, নতুন সরকারের ৭০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে আমরা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করেছি। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ এতে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন। যারা অনুচ্ছেদ ৩৭০কে সমর্থন করছেন তাদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যদি এটা এতই গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে কেন এই অনুচ্ছেদ স্থায়ী করা হয়নি? সর্বোপরি তাদেরকে অনেক মানুষ ভোট দিয়েছেন।

কিন্তু তারা খুব সহজেই তাদের অবস্থান বদলে ফেলতে পারেন। তাদের বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে ভারতের। নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার সরকার জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের জনগণের সেবা করতে চায়। এ সময় তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন। তাদেরকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

মোদি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে যখন আমি দেশ সফর করেছিলাম, তখন দেশের মানুষের চোখে হতাশার ছাপ দেখেছি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, আমাদের দেশ কি কখনও পরিবর্তন হবে। কিন্তু গত ৫ বছরে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করেছি। জাতির মুড এখন পাল্টে গেছে। বিশ্বাস ও আস্থাকে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পেরেছি।

জনগণের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। যদিও এ পথে বাধা আছে, তবু তা অতিক্রম করতে হবে। স্মরণ করুন মুসলিম নারীরা কি রকম ভীতিতে ছিলেন। তারা তিন তালাকের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। এই চর্চা এখন আমরা বন্ধ করেছি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতা দিবসে ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে কথা বললেন মোদি

আপডেট টাইম : ১১:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করা হলো সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক ধাপ অগ্রগতি। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ উপলক্ষে রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থিত রেড ফোর্টে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

এ সময় জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তার সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তার ভাষায়, মাত্র ১০ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃষ্টি দিয়েছে। জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য তারা আমাদেরকে আবার ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সব সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি।

এর মধ্যে রয়েছে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ। তিন তালাক বন্ধ করা, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে পদক্ষেপ নেয়া। তিন তালাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের মুসলিম বোনদের ন্যায়বিচার দিয়েছি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার সরকার সমস্যা সৃষ্টি করা বা তা খুঁড়ে খুঁড়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টিতে বিশ্বাসী নয়। তার ভাষায়, নতুন সরকারের ৭০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে আমরা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করেছি। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ এতে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন। যারা অনুচ্ছেদ ৩৭০কে সমর্থন করছেন তাদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যদি এটা এতই গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে কেন এই অনুচ্ছেদ স্থায়ী করা হয়নি? সর্বোপরি তাদেরকে অনেক মানুষ ভোট দিয়েছেন।

কিন্তু তারা খুব সহজেই তাদের অবস্থান বদলে ফেলতে পারেন। তাদের বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে ভারতের। নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার সরকার জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের জনগণের সেবা করতে চায়। এ সময় তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন। তাদেরকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

মোদি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে যখন আমি দেশ সফর করেছিলাম, তখন দেশের মানুষের চোখে হতাশার ছাপ দেখেছি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, আমাদের দেশ কি কখনও পরিবর্তন হবে। কিন্তু গত ৫ বছরে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করেছি। জাতির মুড এখন পাল্টে গেছে। বিশ্বাস ও আস্থাকে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পেরেছি।

জনগণের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। যদিও এ পথে বাধা আছে, তবু তা অতিক্রম করতে হবে। স্মরণ করুন মুসলিম নারীরা কি রকম ভীতিতে ছিলেন। তারা তিন তালাকের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। এই চর্চা এখন আমরা বন্ধ করেছি।