ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চোখ খুলে হাত-পা নাড়ছে গুলিবিদ্ধ সেই ছোট্ট মুসা এখনই মা হতে নিষেধ করেছিলেন কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী ২৩ দিন পর কাজে ফিরলেন টিএনজেড কারখানার শ্রমিকরা জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত এক হাজার বিঘা আমন ধানের খেত, নালা খননের দাবি

যৌনকর্মী তৈরি করে পুলিশ, অভিযোগ নির্যাতিত যৌনকর্মীদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩১৮ বার

অনেক বছর ধরে নিগৃহীত নির্যাতিত যশোরের যৌনপল্লীর যৌনকর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না এতদিন তাদের। পুলিশের এক টিএসআই’র বদলীর পর নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে বলার সাহস পেল তারা।

সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন যৌনকর্মীরা।

যৌনকর্মীদের অভিযোগ, প্রতিদিন তারা শরীর বিক্রির টাকায় ভাগ বসায় পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা। সদর ফাঁড়ির প্রাক্তন টিএসআই রফিক তাদের অন্যতম। নানা কায়দায় অত্যাচার নির্যাতন করে লাখ লাখ এই টাকা আদায় করতো এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিনিয়ত পুলিশের ওই কর্মকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছে অনেকে। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

যৌনকর্মী সোনিয়া বলেন, আমাদের কাছে নতুন কোনো মেয়ে এলে, তাকে প্রথমে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা রাখার অনুমতি দিলেই আমরা রাখি। এজন্য তারা ৫০/৬০ হাজার টাকা নেয়। তাই যৌনকর্মী তৈরি করে পুলিশ, আমরা না।

সোনিয়া আরও অভিযোগ করেন, যশোরের যৌনপল্লীর নাইটগার্ড আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম তার নিজ ঘরে টিয়া নামের একটি মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতো। ওই মেয়েটির পরিবার তার সন্ধান পেয়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেয়। এরপর র‌্যাবের অভিযানে মেয়েটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কাসেম, রাবেয়া, আঞ্জু, ডলি ও হিরার নামে মামলা হয়। এর বাইরে কাউকে আসামি করা হয়নি।

কিন্তু হঠাৎ গত ২৯ অক্টোবর সদর ফাঁড়ির প্রাক্তন টিএসআই রফিক যশোরে এসে যৌনকর্মী সোনিয়া ও স্বপ্নাকে ডেকে পাঠায়। তাদের কাছে রফিক ৩ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে।

সোনিয়া আরও উল্লেখ করেন, সদর ফাঁড়ির টিএসআই দায়িত্বে থাকাকালীন যৌনপল্লীতে কোনো নতুন মেয়ে এলে রফিককে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হতো। কিন্তু আগে ৫-১০ হাজার টাকায় রফা হতো। যৌনকর্মীদের কাছ থেকে সে নিয়মিত প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করেছে। রফিকের উৎকোচের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আমরা খরিদ্দারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০টাকা আদায় করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত টিএসআই রফিকের নির্যাতনের শিকার ১০-১২জন যৌন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস

যৌনকর্মী তৈরি করে পুলিশ, অভিযোগ নির্যাতিত যৌনকর্মীদের

আপডেট টাইম : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫

অনেক বছর ধরে নিগৃহীত নির্যাতিত যশোরের যৌনপল্লীর যৌনকর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না এতদিন তাদের। পুলিশের এক টিএসআই’র বদলীর পর নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে বলার সাহস পেল তারা।

সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন যৌনকর্মীরা।

যৌনকর্মীদের অভিযোগ, প্রতিদিন তারা শরীর বিক্রির টাকায় ভাগ বসায় পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা। সদর ফাঁড়ির প্রাক্তন টিএসআই রফিক তাদের অন্যতম। নানা কায়দায় অত্যাচার নির্যাতন করে লাখ লাখ এই টাকা আদায় করতো এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিনিয়ত পুলিশের ওই কর্মকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছে অনেকে। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

যৌনকর্মী সোনিয়া বলেন, আমাদের কাছে নতুন কোনো মেয়ে এলে, তাকে প্রথমে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা রাখার অনুমতি দিলেই আমরা রাখি। এজন্য তারা ৫০/৬০ হাজার টাকা নেয়। তাই যৌনকর্মী তৈরি করে পুলিশ, আমরা না।

সোনিয়া আরও অভিযোগ করেন, যশোরের যৌনপল্লীর নাইটগার্ড আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম তার নিজ ঘরে টিয়া নামের একটি মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতো। ওই মেয়েটির পরিবার তার সন্ধান পেয়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেয়। এরপর র‌্যাবের অভিযানে মেয়েটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কাসেম, রাবেয়া, আঞ্জু, ডলি ও হিরার নামে মামলা হয়। এর বাইরে কাউকে আসামি করা হয়নি।

কিন্তু হঠাৎ গত ২৯ অক্টোবর সদর ফাঁড়ির প্রাক্তন টিএসআই রফিক যশোরে এসে যৌনকর্মী সোনিয়া ও স্বপ্নাকে ডেকে পাঠায়। তাদের কাছে রফিক ৩ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে।

সোনিয়া আরও উল্লেখ করেন, সদর ফাঁড়ির টিএসআই দায়িত্বে থাকাকালীন যৌনপল্লীতে কোনো নতুন মেয়ে এলে রফিককে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হতো। কিন্তু আগে ৫-১০ হাজার টাকায় রফা হতো। যৌনকর্মীদের কাছ থেকে সে নিয়মিত প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করেছে। রফিকের উৎকোচের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আমরা খরিদ্দারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০টাকা আদায় করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত টিএসআই রফিকের নির্যাতনের শিকার ১০-১২জন যৌন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।