বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশে বসে গুপ্তহত্যা শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় দেয়া বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি(খালেদা জিয়া) বিদেশে বসে গুপ্তহত্যা শুরু করেছেন। যাকেই ধরা হয়, তারা শিবিরের অথবা বিএনপির লোক। যখনই দেশের মানুষ স্বস্তিতে তখনই এই হত্যাকাণ্ড, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই হত্যাকাণ্ড।”
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “গুপ্তহত্যা যারা করছে, তাদের কিছুকে খুঁজে বের করা হয়েছে। খুনিদের শাস্তি দেবই দেব, আমি শুধু বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা চাই।”
তিনি বলেন, “গুপ্তহত্যা, খুন যাই করুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না, বাংলাদেশের মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না”।
যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে তিনি বলেন, “আমার লাখো শহীদের রক্তে রাঙা পতাকা তাদের (যুদ্ধাপরাধী) হাতে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আজ যারা সাজাপ্রাপ্ত তারা তাদের কেবিনেটে বসিয়েছিল।”
শেখ হাসিনা বলেন, মোশতাক আহমেদের পর জিয়াউর রহমান খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন। খুনিদের বিচার করা হয়নি, বরং বিভিন্নভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছিল।”
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।