ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ নিয়ে মেনে চলুন, স্ট্রোক হবে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরো পৃথিবীতে স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি দশটি মৃত্যুর একটি হয় স্ট্রোকের কারণে। ২০১৭ থেকে ২০১৯-এ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এশিয়ার নানা দেশে। এ নিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি পরামর্শমূলক প্রতিবেদন লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।

সে প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, সব সময়ই স্ট্রোক যে মৃত্যুই ডেকে আনে, তা কিন্তু এমন নয়। বরং পঙ্গুত্বের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না—স্ট্রোক নিয়ে এক আলোচনাসভায় এমনটাই জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গৌতম গুপ্ত।

নিয়মিত চেক আপ ও বাড়তি কিছু সতর্কতা মেনে দৈনন্দিনতায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারলে তবেই এই প্রবণতার সঙ্গে লড়া যায় বলে তার মত।

অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের উপর নির্ভর করেই প্রতিটি কোষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারে। আমাদের মাথার কোষগুলিও এমন স্বভাবের। অথচ মস্তিষ্কের রক্ত বহনকারী ধমনীর পথ বন্ধ হয়ে গেলে বা সরু হয়ে গেলে রক্ত আর সে পথে চলাচল করার মতো অবকাশ পায় না।

অনেক সময় সেখানে চর্বি জমেও এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। তখনই মস্তিষ্কের কোষগুলি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে নেতিয়ে পড়ে অকেজো হয় ও স্ট্রোকের শিকার হতে হয়।

চিকিৎসকদের মতে, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও শরীরচর্চার অভাবে এই প্রবণতা বাড়ে।

তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে স্ট্রোকের এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোকে সহজেই জয় করা যায়।

সে আলোচনাসভায় উঠে আসে স্ট্রোক থেকে বাঁচার নানা কার্যকরী উপায়ও।

১. ওজন কিছুতেই বাড়তে দেয়া যাবে না। বেশির ভাগ অসুখে ওজন বাড়া একটা বড় ফ্যাক্টর। ওজন যত কমবে, অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও ততটাই কমবে। তাই ডায়েট মেনে, শরীরচর্চা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

২. শরীরচর্চার সময় খুব একটা না পেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করুন। একটানা রাস্তা ধরে, দ্রুত পায়ে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন। পেটের মেদ যাতে না জমে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে কোনও ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে নিজের শরীরচর্চার রুটিনটাও সাজিয়ে নিন।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান খুব প্রয়োজন। শরীরে কখনোই অক্সিজেনের ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীর অনুযায়ী আপনার কতখানি পানি পান করা প্রয়োজন, তা জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি পান করুন।

৪. ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই কোলেস্টেরল বাড়বে, মেদও বাড়বে। কাজেই ঘুমের সঙ্গে আপস নয়।

৫. রক্তচাপ ও ডায়াবিটিস থাকলে নিয়ম করে তা চেক আপ করুন। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে মাসিক চেক আপ না করিয়ে অনেকেই একটানা ওষুধ খেয়ে যান। অন্তত দু’মাস অন্তর এই বিষয়গুলো চেক আপ করিয়ে নিন। প্রয়োজনে ওষুধের মাত্রা বাড়তে-কমতে পারে।

৬. রোদে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সঙ্গে রাখুন পানি।

৭. আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়লে, বা মাথা ঝিমঝিমের সঙ্গে শরীরের কোনও অংশ অবশ হয়ে গেলে, জিভ এলিয়ে চোখে অন্ধকার দেখলে ঝুঁকি নেবেন না। এমন হলে ঘাড়ে-মাথায় পানি দিন। সে সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ নিয়ে মেনে চলুন, স্ট্রোক হবে না

আপডেট টাইম : ০২:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরো পৃথিবীতে স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি দশটি মৃত্যুর একটি হয় স্ট্রোকের কারণে। ২০১৭ থেকে ২০১৯-এ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এশিয়ার নানা দেশে। এ নিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি পরামর্শমূলক প্রতিবেদন লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।

সে প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, সব সময়ই স্ট্রোক যে মৃত্যুই ডেকে আনে, তা কিন্তু এমন নয়। বরং পঙ্গুত্বের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না—স্ট্রোক নিয়ে এক আলোচনাসভায় এমনটাই জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গৌতম গুপ্ত।

নিয়মিত চেক আপ ও বাড়তি কিছু সতর্কতা মেনে দৈনন্দিনতায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারলে তবেই এই প্রবণতার সঙ্গে লড়া যায় বলে তার মত।

অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের উপর নির্ভর করেই প্রতিটি কোষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারে। আমাদের মাথার কোষগুলিও এমন স্বভাবের। অথচ মস্তিষ্কের রক্ত বহনকারী ধমনীর পথ বন্ধ হয়ে গেলে বা সরু হয়ে গেলে রক্ত আর সে পথে চলাচল করার মতো অবকাশ পায় না।

অনেক সময় সেখানে চর্বি জমেও এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। তখনই মস্তিষ্কের কোষগুলি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে নেতিয়ে পড়ে অকেজো হয় ও স্ট্রোকের শিকার হতে হয়।

চিকিৎসকদের মতে, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও শরীরচর্চার অভাবে এই প্রবণতা বাড়ে।

তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে স্ট্রোকের এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোকে সহজেই জয় করা যায়।

সে আলোচনাসভায় উঠে আসে স্ট্রোক থেকে বাঁচার নানা কার্যকরী উপায়ও।

১. ওজন কিছুতেই বাড়তে দেয়া যাবে না। বেশির ভাগ অসুখে ওজন বাড়া একটা বড় ফ্যাক্টর। ওজন যত কমবে, অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও ততটাই কমবে। তাই ডায়েট মেনে, শরীরচর্চা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

২. শরীরচর্চার সময় খুব একটা না পেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করুন। একটানা রাস্তা ধরে, দ্রুত পায়ে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন। পেটের মেদ যাতে না জমে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে কোনও ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে নিজের শরীরচর্চার রুটিনটাও সাজিয়ে নিন।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান খুব প্রয়োজন। শরীরে কখনোই অক্সিজেনের ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীর অনুযায়ী আপনার কতখানি পানি পান করা প্রয়োজন, তা জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি পান করুন।

৪. ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই কোলেস্টেরল বাড়বে, মেদও বাড়বে। কাজেই ঘুমের সঙ্গে আপস নয়।

৫. রক্তচাপ ও ডায়াবিটিস থাকলে নিয়ম করে তা চেক আপ করুন। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে মাসিক চেক আপ না করিয়ে অনেকেই একটানা ওষুধ খেয়ে যান। অন্তত দু’মাস অন্তর এই বিষয়গুলো চেক আপ করিয়ে নিন। প্রয়োজনে ওষুধের মাত্রা বাড়তে-কমতে পারে।

৬. রোদে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সঙ্গে রাখুন পানি।

৭. আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়লে, বা মাথা ঝিমঝিমের সঙ্গে শরীরের কোনও অংশ অবশ হয়ে গেলে, জিভ এলিয়ে চোখে অন্ধকার দেখলে ঝুঁকি নেবেন না। এমন হলে ঘাড়ে-মাথায় পানি দিন। সে সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি।