হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের নেত্রী ও সরকারের ‘স্টেট কাউন্সেলর’ অং সান সু চির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে গণহত্যার প্রধান ‘কালপ্রিট’ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপরও ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলের আইনপ্রণেতারা।
এদিন নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট এমপি ইলিয়ট এঙ্গেল ও ওহাইওর রিপাবলিকান এমপি স্টিভ চ্যাবোটের নেতৃত্বে আইনটি প্রস্তাব আকারে কংগ্রেসে তোলা হয়।
পাস হলে সু চি ও মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিং অং হ্লাইংসহ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর বাণিজ্য, ভ্রমণ ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
সে সময় সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তা ও পুলিশ কমান্ডার এবং দুই সামরিক ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী হিসেবে সু চিকে অনেক আগে থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছিল ওয়াশিংটন।
কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনাবাহিনীর গণহত্যার পক্ষেই অবস্থান জানিয়ে গেছেন তিনি। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
কয়েক মাসব্যাপী ওই অভিযানে প্রথম এক মাসেই ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে গুলি, ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। অভিযানের ভয়াবহতার মধ্যে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এরপর গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বাস করছে তারা। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ, হিউম্যান রাইটস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রভৃতি মানবাধিকার সংস্থাগুলো ওই অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।