ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীদের স্তন কেটে বিক্রির নৃশংস ব্যবসা, যত বড় তত দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯
  • ২৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারীদের স্তন কেটে নিয়ে তা বিক্রি করে দিতেন এক লোক। কেনিয়ার নাইরোবিতে দুই বছর ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক অপরাধী। তার নাম বোনিফেস কিমনিয়ানো। যত বড় হতো স্তনগুলো তত ভালো দাম পাওয়া যেত। স্তনগুলোর আকারের উপর নির্ভর করে মূ্ল্য প্রদান করা হতো।

তবে তিনি এখন এ ধরনের অপকর্ম থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এ ঘটনা কেনিয়ার পুরো জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল।

সংবাদমাধ্যম কেটিএন-কে দেওয়া একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বোনিফেস কিমনিয়ানো এসব কথা জানান। তিনি যেসব নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন যৌনকর্মী। সম্পর্ক তৈরী করার পর ওই নারীদের স্তন কেটে ফেলতেন তিনি।

কিমনিয়ানো বলেন, আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নারীদের তুলে আনতাম এবং অর্থের বিনিময়ে তাদের স্তন কেটে নিতাম।

কিমানিয়ানো জানান, তারা বেশিরভাগ অভিযান চালাতেন কোয়েনাঞ্জ স্ট্রিট এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে, যেখানে যৌন কর্মীরা অবাধে চলাফেরা করতেন।

তিনি বলেন, নারীদেরকে স্তন কেটে বিক্রি করার আগে আমরা তাদেরকে ফাঁদে ফেলতাম।

তিনি বলেন, আমরা ‘ফ্লেক্সর’ নামের রাসায়নিক ব্যবহার করে নারীদের ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। এরপর তাদের স্তন কেটে ফেলতাম। পেশী ব্যথা চিকিত্সার ক্ষেত্রে ‘ফ্লেক্সর’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু যদি এর অপব্যবহার করা হয় তবে মাথা ঘোরা এবং সংজ্ঞানাশ হতে পারে।

তিনি বলেন, কিছু লোক ছিল আমাদের নির্দেশদাতা। তাদের মতে, এটি একটি  খুবই লাভজনক ব্যবসা। আমাদের কাজ ছিল কেবল স্তন সংগ্রহ করা এবং ‘বডি ব্রোকার’দের কাছে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া।

কিমানিয়ানো জানান, স্তনগুলো আকার অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারে বিক্রি করা হতো।

তিনি বলেন, যত বড় হতো স্তনগুলো তত ভালো হতো আমাদের জন্য। আকারের উপর নির্ভর করে আমাদেরকে মূ্ল্য প্রদান করা হতো।

কিমানিয়ানো স্বীকার করেন যে, ওই কাজ করে তাদের উপার্জন ভালই ছিল।কিন্তু তিনি নিজের হাতে নারীদের ওই কষ্টভোগ দেখে মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। তবে তিনি ওই কাজ করেছিলেন ড্রাগের খপ্পরে পড়ে।

তিনি বলেন, ‘ব্লু মার্সিডিজ ড্রাগস’ বা ‘রেড ডেভিলস পিলস’ গ্রহণ করার পরে আপনি যেকোনো কিছু করতে পারেন(এই ড্রাগস বোধশক্তি নষ্ট করে ফেলে)।

তবে কয়েক মাস পরে ওই গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। মানবদেহের গোপনাঙ্গসহ বিভিন্ন অংশ প্রধান হাসপাতগুলোতে বিক্রির অপরাধে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এরপর থেকে ওই বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি জানান, আমার সঙ্গীদের বেশিরভাগই ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়েছে। নগরের একটি হাসপাতালে মানবদেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিক্রি হচ্ছে-এমন একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নারীদের স্তন কেটে বিক্রির নৃশংস ব্যবসা, যত বড় তত দাম

আপডেট টাইম : ০৫:০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারীদের স্তন কেটে নিয়ে তা বিক্রি করে দিতেন এক লোক। কেনিয়ার নাইরোবিতে দুই বছর ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক অপরাধী। তার নাম বোনিফেস কিমনিয়ানো। যত বড় হতো স্তনগুলো তত ভালো দাম পাওয়া যেত। স্তনগুলোর আকারের উপর নির্ভর করে মূ্ল্য প্রদান করা হতো।

তবে তিনি এখন এ ধরনের অপকর্ম থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এ ঘটনা কেনিয়ার পুরো জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল।

সংবাদমাধ্যম কেটিএন-কে দেওয়া একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বোনিফেস কিমনিয়ানো এসব কথা জানান। তিনি যেসব নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন যৌনকর্মী। সম্পর্ক তৈরী করার পর ওই নারীদের স্তন কেটে ফেলতেন তিনি।

কিমনিয়ানো বলেন, আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নারীদের তুলে আনতাম এবং অর্থের বিনিময়ে তাদের স্তন কেটে নিতাম।

কিমানিয়ানো জানান, তারা বেশিরভাগ অভিযান চালাতেন কোয়েনাঞ্জ স্ট্রিট এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে, যেখানে যৌন কর্মীরা অবাধে চলাফেরা করতেন।

তিনি বলেন, নারীদেরকে স্তন কেটে বিক্রি করার আগে আমরা তাদেরকে ফাঁদে ফেলতাম।

তিনি বলেন, আমরা ‘ফ্লেক্সর’ নামের রাসায়নিক ব্যবহার করে নারীদের ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। এরপর তাদের স্তন কেটে ফেলতাম। পেশী ব্যথা চিকিত্সার ক্ষেত্রে ‘ফ্লেক্সর’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু যদি এর অপব্যবহার করা হয় তবে মাথা ঘোরা এবং সংজ্ঞানাশ হতে পারে।

তিনি বলেন, কিছু লোক ছিল আমাদের নির্দেশদাতা। তাদের মতে, এটি একটি  খুবই লাভজনক ব্যবসা। আমাদের কাজ ছিল কেবল স্তন সংগ্রহ করা এবং ‘বডি ব্রোকার’দের কাছে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া।

কিমানিয়ানো জানান, স্তনগুলো আকার অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারে বিক্রি করা হতো।

তিনি বলেন, যত বড় হতো স্তনগুলো তত ভালো হতো আমাদের জন্য। আকারের উপর নির্ভর করে আমাদেরকে মূ্ল্য প্রদান করা হতো।

কিমানিয়ানো স্বীকার করেন যে, ওই কাজ করে তাদের উপার্জন ভালই ছিল।কিন্তু তিনি নিজের হাতে নারীদের ওই কষ্টভোগ দেখে মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। তবে তিনি ওই কাজ করেছিলেন ড্রাগের খপ্পরে পড়ে।

তিনি বলেন, ‘ব্লু মার্সিডিজ ড্রাগস’ বা ‘রেড ডেভিলস পিলস’ গ্রহণ করার পরে আপনি যেকোনো কিছু করতে পারেন(এই ড্রাগস বোধশক্তি নষ্ট করে ফেলে)।

তবে কয়েক মাস পরে ওই গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। মানবদেহের গোপনাঙ্গসহ বিভিন্ন অংশ প্রধান হাসপাতগুলোতে বিক্রির অপরাধে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এরপর থেকে ওই বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি জানান, আমার সঙ্গীদের বেশিরভাগই ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়েছে। নগরের একটি হাসপাতালে মানবদেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিক্রি হচ্ছে-এমন একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।