ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের দাবি কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৬ বার

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন।

তাদের অভিযোগ, অতীতের কোনো সরকার দ্বীপ নিয়ে এমন টালবাহানা করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার নামে পর্যটন শিল্প ধংস করে দ্বীপ নিয়ে পাঁয়তারা শুরু করেছে। সরকার এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দ্বীপের মানুষ রাস্তা ছাড়বে না।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কর্মিরাও অংশগ্রহণ করেন।কলাতলী মোড়টি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকা এবং প্রবেশমুখ হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচির কারণে চতুর্দিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ায় পর্যটক ও স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েন।

তবে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সাথে আলাপ করার পরও তারা কর্মসূচি পালনে অনড় থাকেন। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান ছিল।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ি মাওলানা আব্দুর রহমান খান, মোহাম্মদ আলম, সরওয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) একাংশের সভাপতি রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে স্থানীয়রা বলেছেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ সম্পর্কে তারা সম্যক অবগত। পরিবেশ রক্ষা করতে দ্বীপবাসীকে সাথে নিয়েই করতে হবে। কিন্তু সরকার পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে পর্যটক গমনাগমনে বিধি-নিষেধ আরোপ করে পর্যটন শিল্প ধংসেরই পাঁয়তারা করছেন। এতে দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকাসহ পর্যটনের সাথে জড়িত হাজার হাজার কর্মির কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।’

ইতোমধ্যেই দ্বীপের মানুষের মাঝে অভাব-অনটনের পাশাপাশি অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন বলেও জানান তারা।

এদিকে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ‘নভেম্বর মাস থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জটিলতায় এখনো সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। এতে চলতি মৌসুমে দ্বীপটিতে পর্যটক যাতায়ত নিয়ে অনিশ্চিয়তা কাটেনি। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম হুমকির মুখে দ্বীপবাসীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ।’

পরিবেশ রক্ষা করেই পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের দাবি কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন।

তাদের অভিযোগ, অতীতের কোনো সরকার দ্বীপ নিয়ে এমন টালবাহানা করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার নামে পর্যটন শিল্প ধংস করে দ্বীপ নিয়ে পাঁয়তারা শুরু করেছে। সরকার এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দ্বীপের মানুষ রাস্তা ছাড়বে না।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কর্মিরাও অংশগ্রহণ করেন।কলাতলী মোড়টি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকা এবং প্রবেশমুখ হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচির কারণে চতুর্দিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ায় পর্যটক ও স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েন।

তবে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সাথে আলাপ করার পরও তারা কর্মসূচি পালনে অনড় থাকেন। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান ছিল।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ি মাওলানা আব্দুর রহমান খান, মোহাম্মদ আলম, সরওয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) একাংশের সভাপতি রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে স্থানীয়রা বলেছেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ সম্পর্কে তারা সম্যক অবগত। পরিবেশ রক্ষা করতে দ্বীপবাসীকে সাথে নিয়েই করতে হবে। কিন্তু সরকার পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে পর্যটক গমনাগমনে বিধি-নিষেধ আরোপ করে পর্যটন শিল্প ধংসেরই পাঁয়তারা করছেন। এতে দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকাসহ পর্যটনের সাথে জড়িত হাজার হাজার কর্মির কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।’

ইতোমধ্যেই দ্বীপের মানুষের মাঝে অভাব-অনটনের পাশাপাশি অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন বলেও জানান তারা।

এদিকে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ‘নভেম্বর মাস থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জটিলতায় এখনো সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। এতে চলতি মৌসুমে দ্বীপটিতে পর্যটক যাতায়ত নিয়ে অনিশ্চিয়তা কাটেনি। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম হুমকির মুখে দ্বীপবাসীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ।’

পরিবেশ রক্ষা করেই পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।