ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রুপের সকলকে সে বিপদে ফেলেছে: সোহানা সাবা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় দুই দলে বিভক্ত হন শিল্পীরা। একদল আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন রাজপথে। অন্য দল ছিলেন বিপক্ষে। তারা দলীয় (আওয়ামী লীগ) ট্যাগে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকার শেখ হাসিনার পক্ষে। শুধু তাই নয়, খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপের একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রথমদিকে নীরব ছিলেন সাবা। তবে দিন যত গড়াতে থাকে ভাঙতে থাকে তার নীরবতাও। সক্রিয় হন ফেসবুকে। এরপর দেশের চলমান নানা ইস্যুতে কথা বলতে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। এখন প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে কোনো না কোনো স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হন সাবা। তারই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘আজকের প্রোপাগান্ডা হলো ফারুকী সাহেবকে নিয়ে ভালো ভালো কথা ফেসবুক প্রচার করা। সে অনুযায়ী আদিষ্ট হয়ে অনেকের মতো তার একজন সাগরেদ (তার নাম বলে মুখ নাপাক করব না) স্ট্যাটাস দিয়েছেন (স্ক্রিনশট কমেন্টে দিব না… ফ্রিতে তার ফলোয়ার কেন বাড়াব ভাই)। সেই স্ট্যাটাসে আলো আসবেই গ্রুপের মেম্বারদের হত্যাকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমার লেগেছে আর কী।’

সাবা আরও বলেন, ‘যেহেতু ফারুকী আওয়ামী লীগের ক্রিম খাইসে তাই ছাত্র আন্দোলনের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য একটু বেশি নোংরামি করতে হইসে তাকে। সেজন্য অন্যান্য প্রোপাগান্ডার পাশাপাশি তাকে ভর করতে হইসে “আলো আসবেই” নামক একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ওপর। সাধারণ একটা গ্রুপ চ্যাটকে বিভিন্ন নোংরামির মাধ্যমে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে, গ্রুপের শিল্পীদের “হত্যাকারী” উল্লেখ করে, গ্রুপের সকলকে বিপদে ফেলেছে সে। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য সেই গ্রুপের কোনো কোনো শিল্পীর জীবন হুমকির মুখে।’

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ফারুকীকে নিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘মিডিয়া আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠার প্রাণপণ চেষ্টা তার বৃথা যায়নি! বরং ডটার্স টেল… আর মুজিববর্ষ…কে পিছনে ফেলে সে এক নম্বরে স্থান করে নিয়েছে। বিনিময়ে তিনি আজ উপদেষ্টা! সেটা আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির জন্য হয়তোবা ভালোই হতে পারত, যদি না সে নাটক-সিনেমা-ওটিটির মত আবারো শুধুমাত্র তার ভাই-ব্রাদারদের নিয়ে সংস্কৃতির সিন্ডিকেট বানিয়ে সেটাকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।’

সবশেষে সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘কিন্তু ওই যে, বাগড়া দিচ্ছে ধর্মের কল, সে বাতাসে নড়াচড়া শুরু করসে। তার চেয়ারের পিছনে লেগে গেছে একদল! একদল বললেও ভুল হবে। তিনিই একমাত্র জন যার প্রতি দেশের সব শ্রেণির, দলের লোকেরা ঘৃণা প্রকাশ করছে! আওয়ামী লীগের ক্রিম ঢাকতে পারলেও তার স্ত্রীর বঙ্গমাতা হয়ে উঠার ঘটনাটা আর ঢাকতে পারলেন না। এখন আবার সেই চেয়ার রক্ষার জন্য তার ভাই-ব্রাদাররূপী চামচিকারা স্ট্যাটাস দিতে দিতে ওড়াউড়ি করতেসে! দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়! আমি অবশ্য মিডিয়ার একজন হিসেবে ফারুকী সাহেবকে উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে খুশি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রুপের সকলকে সে বিপদে ফেলেছে: সোহানা সাবা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় দুই দলে বিভক্ত হন শিল্পীরা। একদল আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন রাজপথে। অন্য দল ছিলেন বিপক্ষে। তারা দলীয় (আওয়ামী লীগ) ট্যাগে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকার শেখ হাসিনার পক্ষে। শুধু তাই নয়, খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপের একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রথমদিকে নীরব ছিলেন সাবা। তবে দিন যত গড়াতে থাকে ভাঙতে থাকে তার নীরবতাও। সক্রিয় হন ফেসবুকে। এরপর দেশের চলমান নানা ইস্যুতে কথা বলতে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। এখন প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে কোনো না কোনো স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হন সাবা। তারই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘আজকের প্রোপাগান্ডা হলো ফারুকী সাহেবকে নিয়ে ভালো ভালো কথা ফেসবুক প্রচার করা। সে অনুযায়ী আদিষ্ট হয়ে অনেকের মতো তার একজন সাগরেদ (তার নাম বলে মুখ নাপাক করব না) স্ট্যাটাস দিয়েছেন (স্ক্রিনশট কমেন্টে দিব না… ফ্রিতে তার ফলোয়ার কেন বাড়াব ভাই)। সেই স্ট্যাটাসে আলো আসবেই গ্রুপের মেম্বারদের হত্যাকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমার লেগেছে আর কী।’

সাবা আরও বলেন, ‘যেহেতু ফারুকী আওয়ামী লীগের ক্রিম খাইসে তাই ছাত্র আন্দোলনের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য একটু বেশি নোংরামি করতে হইসে তাকে। সেজন্য অন্যান্য প্রোপাগান্ডার পাশাপাশি তাকে ভর করতে হইসে “আলো আসবেই” নামক একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ওপর। সাধারণ একটা গ্রুপ চ্যাটকে বিভিন্ন নোংরামির মাধ্যমে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে, গ্রুপের শিল্পীদের “হত্যাকারী” উল্লেখ করে, গ্রুপের সকলকে বিপদে ফেলেছে সে। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য সেই গ্রুপের কোনো কোনো শিল্পীর জীবন হুমকির মুখে।’

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ফারুকীকে নিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘মিডিয়া আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠার প্রাণপণ চেষ্টা তার বৃথা যায়নি! বরং ডটার্স টেল… আর মুজিববর্ষ…কে পিছনে ফেলে সে এক নম্বরে স্থান করে নিয়েছে। বিনিময়ে তিনি আজ উপদেষ্টা! সেটা আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির জন্য হয়তোবা ভালোই হতে পারত, যদি না সে নাটক-সিনেমা-ওটিটির মত আবারো শুধুমাত্র তার ভাই-ব্রাদারদের নিয়ে সংস্কৃতির সিন্ডিকেট বানিয়ে সেটাকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।’

সবশেষে সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘কিন্তু ওই যে, বাগড়া দিচ্ছে ধর্মের কল, সে বাতাসে নড়াচড়া শুরু করসে। তার চেয়ারের পিছনে লেগে গেছে একদল! একদল বললেও ভুল হবে। তিনিই একমাত্র জন যার প্রতি দেশের সব শ্রেণির, দলের লোকেরা ঘৃণা প্রকাশ করছে! আওয়ামী লীগের ক্রিম ঢাকতে পারলেও তার স্ত্রীর বঙ্গমাতা হয়ে উঠার ঘটনাটা আর ঢাকতে পারলেন না। এখন আবার সেই চেয়ার রক্ষার জন্য তার ভাই-ব্রাদাররূপী চামচিকারা স্ট্যাটাস দিতে দিতে ওড়াউড়ি করতেসে! দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়! আমি অবশ্য মিডিয়ার একজন হিসেবে ফারুকী সাহেবকে উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে খুশি।’