দশম জাতীয় সংসদে একটি ‘ভুয়া’ বিরোধী দল সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি সংসদীয় রাজনীতিতে একটি বাজে নজির হয়ে থাকবে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। ‘বিতর্কিত নির্বাচনের’ মাধ্যমে গঠিত সংসদ ভেঙে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই ভুয়া বিরোধী দল রেখে বর্তমান জাতীয় সংসদকে পাঁচ বছর পর্যন্ত টেনে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমরা মনে করি না। এই তথাকথিত বিরোধী দলকে যতই সুবিধা দিয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট করা হোক না কেন, দেশ-বিদেশে প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে কোনো দিনই স্বীকৃতি পাবে না তারা। তিনি বলেন, সংসদের এই কথিত বিরোধী দল আত্মপরিচয়ের সংকটে নিমজ্জিত। সরকারের জন্য তা ক্রমেই বড়মাপের বোঝা হয়ে উঠছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। এটা শুধু বিএনপিই দাবি করেনি, নির্বাচনের পরপরই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মিত্ররাও এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নিয়ে সংসদের চিফ হুইপসহ সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।​ আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, টিআইবি দায়িত্ব নিয়েই সে কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সরকারি দলের নেতারা টিআইবির পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি। বরং টিআইবি এ সংসদ নিয়ে সত্য উন্মোচন করায় তাদের বিরোধী দলের এজেন্ট পর্যন্ত বলা হয়েছে। বিএনপি এর নিন্দা জানাচ্ছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা মনে করি, সত্য যতই কঠিন হোক না কেন, সরকারের উচিত হবে প্রকৃত বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া। দশম জাতীয় সংসদ ও তার নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষণগুলো মেনে নিয়ে সংকট থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা। এ লক্ষ্যে সব বিরোধী দল ও বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের সঙ্গে একটি সংলাপ প্রক্রিয়ার সূচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রিপন বলেন, যখনই টিআইবি সরকারের সমালোচনা করে, তখনই তাদের আয়ের উৎস নিয়ে তদন্ত দাবি করা হয়। সরকারে তো তারাই আছেন তাহলে তদন্ত করছেন না কেন? সংসদে না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দল ও তার মিত্রদের বিএনপির সমালোচনায় মুখর থাকার ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ ও ‘অসংসদীয়’ বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান রিপন।