ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের মতিনের পেছনে বিশ্বকাপের ফুটবলার, সামনে ব্রাজিলিয়ান ভিনুসিয়ুস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯
  • ২০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বসুন্ধরা কিংসে তারকা ফুটবলারের হাট। ফরোয়ার্ড লাইনেই আছেন কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেস ও ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস। লিগে দুর্দান্ত খেলছেন বিদেশি দুই ফরোয়ার্ড। কিন্তু তাঁদের ছাপিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় মতিন মিয়া। অন্তত গোল করার বিচারে মতিন পেছনে ফেলেছেন বিশ্বকাপ খেলে আসা কলিনদ্রেসকে।

আর এক গোল বেশি করে তাঁর এক কদম দূরে অবস্থান করছেন ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস। প্রিমিয়ার লিগে ১৩ ম্যাচে ১২ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা। দলটির মোট গোল ২৯টি। এর মধ্যে কোস্টারিকা-ব্রাজিল-বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড ত্রয়ীর পা থেকে এসেছে ২০ গোল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ আট গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, ৭টি মতিন ও কলিনদ্রেস ৫টি। শেষ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন মতিন। ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় পরপর দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিলেটের এই তরুণ।

ভিনিসিয়ুস এক গোল বেশি করলেও তুলনামূলকভাবে মতিনকে খুব বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। ৮ গোল করতে ১১৫৮ মিনিট খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। অর্থাৎ প্রতিটি গোল করতে সময় নিয়েছেন প্রায় ১৪৫ মিনিট। আর ৭ গোল করতে মতিন সময় নিয়েছেন ১০৪১ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি গোলে মতিন সময় নিয়েছেন প্রায় ১৪৯ মিনিট। আর ৫ গোল করতে কলিনদ্রেস সময় নিয়েছেন ১০৮০ মিনিট। কোস্টারিকার জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা এই স্ট্রাইকারের প্রতি গোলের পেছনে খরচা ২১৬ মিনিট।

সাধারণত, ৪-৩-৩ ফরমেশনে ভিনিসিয়ুসকে নম্বর নাইনে রেখে বাঁ প্রান্তে কলিনদ্রেস ও ডান প্রান্তে দেখা যায় মতিনকে। এমন ক্ষুরধার ফরোয়ার্ড লাইন যেকোনো দলের রক্ষণভাগ খুলে ফেলে অনায়াসে। তবু মন ভরছিল না বসুন্ধরা ক্লাব কর্তাদের। তাই তাঁরা উড়িয়ে এনেছেন শেষ মৌসুমে ভারতের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজাকে।

প্লাজা আসাতে মতিনের একাদশে খেলা নিয়ে কিছু সন্দেহ তৈরি হলেও শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে মতিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বেঞ্চে বসে থাকার খেলোয়াড় নন। তবুও মতিনের দুশ্চিন্তা পরের ম্যাচগুলোতে একাদশে খেলতে পারবেন কি না, ‘প্লাজা আসায় আমাদের দলের চারজন বিদেশিই এখন ফরোয়ার্ড। ফলে পরের ম্যাচগুলো একাদশে খেলতে পারব কি না, সন্দেহ আছে। তবে আমার তো আর এগুলো ভেবে লাভ নেই। আমি সুযোগ পেলেই নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব।’ আর মতিন যে সুযোগ পেলেই দেখিয়ে দিতে পারেন, তা আগে থেকেই প্রমাণিত।

সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে প্রস্ফুটিত হওয়া মতিন চলতি মৌসুমেই নাম লিখিয়েছেন বসুন্ধরায়। ক্লাবের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনও মতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘মতিন খুব গতিসম্পন্ন ফুটবলার। সে যখন-তখন খেলার চেহারা বদলে দিতে পারে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের মতিনের পেছনে বিশ্বকাপের ফুটবলার, সামনে ব্রাজিলিয়ান ভিনুসিয়ুস

আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বসুন্ধরা কিংসে তারকা ফুটবলারের হাট। ফরোয়ার্ড লাইনেই আছেন কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেস ও ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস। লিগে দুর্দান্ত খেলছেন বিদেশি দুই ফরোয়ার্ড। কিন্তু তাঁদের ছাপিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় মতিন মিয়া। অন্তত গোল করার বিচারে মতিন পেছনে ফেলেছেন বিশ্বকাপ খেলে আসা কলিনদ্রেসকে।

আর এক গোল বেশি করে তাঁর এক কদম দূরে অবস্থান করছেন ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস। প্রিমিয়ার লিগে ১৩ ম্যাচে ১২ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা। দলটির মোট গোল ২৯টি। এর মধ্যে কোস্টারিকা-ব্রাজিল-বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড ত্রয়ীর পা থেকে এসেছে ২০ গোল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ আট গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, ৭টি মতিন ও কলিনদ্রেস ৫টি। শেষ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন মতিন। ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় পরপর দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিলেটের এই তরুণ।

ভিনিসিয়ুস এক গোল বেশি করলেও তুলনামূলকভাবে মতিনকে খুব বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। ৮ গোল করতে ১১৫৮ মিনিট খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। অর্থাৎ প্রতিটি গোল করতে সময় নিয়েছেন প্রায় ১৪৫ মিনিট। আর ৭ গোল করতে মতিন সময় নিয়েছেন ১০৪১ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি গোলে মতিন সময় নিয়েছেন প্রায় ১৪৯ মিনিট। আর ৫ গোল করতে কলিনদ্রেস সময় নিয়েছেন ১০৮০ মিনিট। কোস্টারিকার জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা এই স্ট্রাইকারের প্রতি গোলের পেছনে খরচা ২১৬ মিনিট।

সাধারণত, ৪-৩-৩ ফরমেশনে ভিনিসিয়ুসকে নম্বর নাইনে রেখে বাঁ প্রান্তে কলিনদ্রেস ও ডান প্রান্তে দেখা যায় মতিনকে। এমন ক্ষুরধার ফরোয়ার্ড লাইন যেকোনো দলের রক্ষণভাগ খুলে ফেলে অনায়াসে। তবু মন ভরছিল না বসুন্ধরা ক্লাব কর্তাদের। তাই তাঁরা উড়িয়ে এনেছেন শেষ মৌসুমে ভারতের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজাকে।

প্লাজা আসাতে মতিনের একাদশে খেলা নিয়ে কিছু সন্দেহ তৈরি হলেও শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে মতিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বেঞ্চে বসে থাকার খেলোয়াড় নন। তবুও মতিনের দুশ্চিন্তা পরের ম্যাচগুলোতে একাদশে খেলতে পারবেন কি না, ‘প্লাজা আসায় আমাদের দলের চারজন বিদেশিই এখন ফরোয়ার্ড। ফলে পরের ম্যাচগুলো একাদশে খেলতে পারব কি না, সন্দেহ আছে। তবে আমার তো আর এগুলো ভেবে লাভ নেই। আমি সুযোগ পেলেই নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব।’ আর মতিন যে সুযোগ পেলেই দেখিয়ে দিতে পারেন, তা আগে থেকেই প্রমাণিত।

সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে প্রস্ফুটিত হওয়া মতিন চলতি মৌসুমেই নাম লিখিয়েছেন বসুন্ধরায়। ক্লাবের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনও মতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘মতিন খুব গতিসম্পন্ন ফুটবলার। সে যখন-তখন খেলার চেহারা বদলে দিতে পারে।’