ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘালয়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের মুখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯
  • ২৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’র কারনে ভারতের মেঘালয়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের মুখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার সব কয়টি সীমান্তনদীর পানি শনিবার থেকে আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে।

শনিবার দিনভর থেমে থেমে ঝড়ে বাতাস বৃষ্টিপাতের কারনে সকাল থেকে জেলার ৯ উপজেলাতেই পল্লী বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। শুক্রবার বিকেল থেকেই মুলত ঝড়ে হাওয়া ও বৃষ্টির প্রভাব পড়তে থাকে জেলার সর্বত্র। রবিবার সকালে সুরমার পানি বিপদসীমার ৫.৮৮ সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পবিসের জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা শনিবার রাতে জানান, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় দিনভর চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা কারন দিনভর ঝড়ে বাতাস ও বৃষ্টিপাতের প্রবল তোড়ে ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন একাধিক স্থানে ছিড়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ফনীর কারনে ঝড়ে হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই, শাল্লা ও সদও উপজেলায় শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে সন্ধার পরপরই ওই আট উপজেলাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হয়েছে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিলো যৎসামান্য।

এদিকে ‘ফনী’র প্রভাবে জেলার সীমান্ত নদী সুরমা, চলতি, ধোপাজান, তাহিরপুরের জাদুকাঁটা, পাটলাই, দোয়ারবাজারের, খাসিয়ামারা, ছাতকের ছেলা সহ সীমান্তনদী গুলো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শনি-শুক্র গত দু’দিন ধরেই।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে থাকা অবশিষ্ট বোরো ধান কাঁটা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। কয়েকটি হাওরও ডুবে গেছে। তবে এসব হাওরের ধান কাটা হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘালয়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের মুখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

আপডেট টাইম : ১০:০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’র কারনে ভারতের মেঘালয়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের মুখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার সব কয়টি সীমান্তনদীর পানি শনিবার থেকে আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে।

শনিবার দিনভর থেমে থেমে ঝড়ে বাতাস বৃষ্টিপাতের কারনে সকাল থেকে জেলার ৯ উপজেলাতেই পল্লী বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। শুক্রবার বিকেল থেকেই মুলত ঝড়ে হাওয়া ও বৃষ্টির প্রভাব পড়তে থাকে জেলার সর্বত্র। রবিবার সকালে সুরমার পানি বিপদসীমার ৫.৮৮ সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পবিসের জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা শনিবার রাতে জানান, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় দিনভর চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা কারন দিনভর ঝড়ে বাতাস ও বৃষ্টিপাতের প্রবল তোড়ে ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন একাধিক স্থানে ছিড়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ফনীর কারনে ঝড়ে হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই, শাল্লা ও সদও উপজেলায় শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে সন্ধার পরপরই ওই আট উপজেলাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হয়েছে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিলো যৎসামান্য।

এদিকে ‘ফনী’র প্রভাবে জেলার সীমান্ত নদী সুরমা, চলতি, ধোপাজান, তাহিরপুরের জাদুকাঁটা, পাটলাই, দোয়ারবাজারের, খাসিয়ামারা, ছাতকের ছেলা সহ সীমান্তনদী গুলো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শনি-শুক্র গত দু’দিন ধরেই।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে থাকা অবশিষ্ট বোরো ধান কাঁটা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। কয়েকটি হাওরও ডুবে গেছে। তবে এসব হাওরের ধান কাটা হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।