৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এর মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ভয়ঙ্কর রূপে শক্তির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডবলীলা দেখাতে পারে এই ঝড়, যা ১৯৭৬ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হবে এই অঞ্চলে। এদিকে ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল ৪-৫ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ফণী বৃহস্পাতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

অন্যদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে ফণীর আঘাত হানতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় ফণীর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। ১৯৭৬ সালের পর ভারত মহাসাগরে এতো বেশি শক্তিশালী ঝড় দেখা যায়নি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাত থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে উড়িষ্যা উপকূল থেকে ৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে দেশটি।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নাম হয় ফনি। এই ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নাগরিকরা উদ্বেগে সময় পার করছে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর