হাওর বার্তা ডেস্কঃ শপথ নেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে কোনো আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বগুড়া থেকে নির্বাচিত এ জনপ্রতিনিধি বলেছেন, যারা এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করছেন তারা আমার সঙ্গে কথা না বলেই করছেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় দেখলাম আমি নাকি শপথ নেয়ার জন্য সময় চেয়ে সংসদে আবেদন করেছি। বিষয়টি সঠিক নয়। আমি কোনো আবেদন করিনি।
সাংবাদিকতার নীতি বজায় রেখে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি পত্রিকা লিখেছে-মির্জা ফখরুলের সংসদে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি যদি শপথ না নিই সে ক্ষেত্রে কী হবে? আপনার সাংবাদিকতা কোথায় যাবে? তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ-রিপোর্ট করার আগে ‘জার্নালিস্ট ইথিকস’ বজায় রাখবেন। সঠিক সংবাদ প্রকাশ করবেন।
প্রসঙ্গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফল বর্জন করা বিএনপি প্রথমে সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সোমবার শপথ নেয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার জনপ্রতিনিধি সংসদে যোগ দিয়েছেন। এর আগে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান শপথ নেন। শপথ প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো সমঝোত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো আপস কিংবা সমঝোতার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটির প্রশ্নেই ওঠে না। সেটি যদি হতো, তবে কিছুদিন আগেও আমার নামে নতুন করে যে মামলা দেয়া হয়েছে সেটি নিশ্চয়ই হতো না। আমাদের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের বিনাবিচারে জেলে থাকতে হতো না।
সংসদে যোগ দেয়ার যুক্তি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ন্যূনতম সুযোগ কাজে লাগাতেই সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সংসদে, সংসদের বাইরে-সব জায়গায় প্রতিবাদের সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এ সিদ্ধান্ত।
দানবকে পরাজিত করতেই বিএনপির এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সংসদে, সংসদের বাইরে সরকারের সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাব। আপনারা দেখেছেন, গতকাল শপথ নিয়েই আমাদের একজন এমপি (হারুন-উর রশিদ) সংসদে গিয়ে কথা বলেছেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
বিদেশিদের চাপে বিএনপি সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, না, বিদেশিদের কাছ থেকে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। আমরা তাদের সঙ্গে চলমান রাজনীতি নিয়ে নিয়মিতই কথা বলছি। আমরা বিশ্ব রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছি। আঞ্চলিক রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছি। সব মিলিয়ে এই (সংসদে যাওয়ার) সিদ্ধান্ত।