ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়স হলেও বৃদ্ধ হবে না মানুষ, আসছে ওষুধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষের বয়স বাড়বে কিন্তু বুড়িয়ে যাবে না। ওষুধ প্রয়োগে বুড়িয়ে যাওয়া তথা বার্ধক্যজনিত রোগ-ব্যাধি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে কিন্তু সে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি সুস্থ থাকার সুযোগ-সুবিধা। বয়সী মানুষরা নানা অসুখ-বিসুখের শিকার হয়ে শেষ দিনগুলো অনেকটা যন্ত্রণার মধ্য দিয়েই কাটান।

আর তাই আধুনিক তথা বৈজ্ঞানিক এ যুগে আয়ু বাড়ানোর পাশাপাশি সুস্থ অবস্থায় জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে মানুষে গড় আয়ু বেড়ে ৮৫ বছর হয়েছে। অথচ এ আয়ুসীমার পুরোটাই সুস্থ হয়ে বাঁচে না মানুষ। বরং গড়ে শেষ ২০ বছর কাটে বার্ধক্যজনিত রোগভোগে।

চিকিৎসাবিদরা একে ‘লেট লাইফ মরিবিডিটি’ বলে থাকেন। বয়সজনিত রোগ-ভোগ যে কেবল ব্যক্তির জন্য কঠিন হয়ে ওঠে তা নয়। বরং এ রোগের ব্যয়ভার বর্তায় সমাজের ওপর।

জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে শরীরের নিজেকে মেরামত করার অক্ষমতাকেই বয়স হওয়া বোঝানো হয়। আর এখানেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। জৈবিক প্রক্রিয়ায় বয়স বাড়ে তাই এ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

এমন কথা বলেছেন জোয়ান ম্যানিক নামের এক চিকিৎসাবিদ। রেস্টোবিরো নামে ওষুধ কোম্পানির প্রধান মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বয়স প্রতিহত করার ওষুধ তৈরির গবেষণায় যেসব কোম্পানি শীর্ষস্থানে রয়েছে তাদের অন্যতম হলো রেস্টোবিরো।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীর যখন নিজেকে মেরামত করতে ব্যর্থ হয় তখন ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং কোষকলায় জমতে থাকে আমিষসহ নানা আবর্জনা। এ সময়ে জিনের গঠন বদলে যায়। যাকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলা হয়। ফলে ক্রোমোসোম ঢিলে হয়ে যায়। কোনও কোনও কোষ ক্যান্সারধর্মী হয়ে ওঠে। আর অনেকেই হয়ে ওঠেন ‘জম্বি’ বা জীবন্ত লাশ। দুর্বল হয়ে পড়ে দেহ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। শরীরে শক্তির যোগান দেয় মাইটোকন্ড্রিয়া। এ সময়ে এটিও মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শরীরে এ সময়ে নিচু মাত্রার প্রদাহ বিরাজ করে। শরীরের এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ইনফ্লামাজিং।’

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীর মেরামতের প্রক্রিয়া কী করে ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তুলতে হয় বিজ্ঞানীরা তা এখন জানেন। যদি সব কিছু পরিকল্পনা মোতাবেক এগোয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতেই এমন ওষুধ বাজারে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতোদিনের মধ্যে এমন ওষুধ বাজারে আসবে সে বিষয়ে মোটেও ভবিষ্যতবাণী করতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বয়স হলেও বৃদ্ধ হবে না মানুষ, আসছে ওষুধ

আপডেট টাইম : ০৪:১৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষের বয়স বাড়বে কিন্তু বুড়িয়ে যাবে না। ওষুধ প্রয়োগে বুড়িয়ে যাওয়া তথা বার্ধক্যজনিত রোগ-ব্যাধি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে কিন্তু সে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি সুস্থ থাকার সুযোগ-সুবিধা। বয়সী মানুষরা নানা অসুখ-বিসুখের শিকার হয়ে শেষ দিনগুলো অনেকটা যন্ত্রণার মধ্য দিয়েই কাটান।

আর তাই আধুনিক তথা বৈজ্ঞানিক এ যুগে আয়ু বাড়ানোর পাশাপাশি সুস্থ অবস্থায় জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে মানুষে গড় আয়ু বেড়ে ৮৫ বছর হয়েছে। অথচ এ আয়ুসীমার পুরোটাই সুস্থ হয়ে বাঁচে না মানুষ। বরং গড়ে শেষ ২০ বছর কাটে বার্ধক্যজনিত রোগভোগে।

চিকিৎসাবিদরা একে ‘লেট লাইফ মরিবিডিটি’ বলে থাকেন। বয়সজনিত রোগ-ভোগ যে কেবল ব্যক্তির জন্য কঠিন হয়ে ওঠে তা নয়। বরং এ রোগের ব্যয়ভার বর্তায় সমাজের ওপর।

জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে শরীরের নিজেকে মেরামত করার অক্ষমতাকেই বয়স হওয়া বোঝানো হয়। আর এখানেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। জৈবিক প্রক্রিয়ায় বয়স বাড়ে তাই এ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

এমন কথা বলেছেন জোয়ান ম্যানিক নামের এক চিকিৎসাবিদ। রেস্টোবিরো নামে ওষুধ কোম্পানির প্রধান মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বয়স প্রতিহত করার ওষুধ তৈরির গবেষণায় যেসব কোম্পানি শীর্ষস্থানে রয়েছে তাদের অন্যতম হলো রেস্টোবিরো।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীর যখন নিজেকে মেরামত করতে ব্যর্থ হয় তখন ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং কোষকলায় জমতে থাকে আমিষসহ নানা আবর্জনা। এ সময়ে জিনের গঠন বদলে যায়। যাকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলা হয়। ফলে ক্রোমোসোম ঢিলে হয়ে যায়। কোনও কোনও কোষ ক্যান্সারধর্মী হয়ে ওঠে। আর অনেকেই হয়ে ওঠেন ‘জম্বি’ বা জীবন্ত লাশ। দুর্বল হয়ে পড়ে দেহ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। শরীরে শক্তির যোগান দেয় মাইটোকন্ড্রিয়া। এ সময়ে এটিও মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শরীরে এ সময়ে নিচু মাত্রার প্রদাহ বিরাজ করে। শরীরের এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ইনফ্লামাজিং।’

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীর মেরামতের প্রক্রিয়া কী করে ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তুলতে হয় বিজ্ঞানীরা তা এখন জানেন। যদি সব কিছু পরিকল্পনা মোতাবেক এগোয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতেই এমন ওষুধ বাজারে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতোদিনের মধ্যে এমন ওষুধ বাজারে আসবে সে বিষয়ে মোটেও ভবিষ্যতবাণী করতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা।