পাঁচ মাস পর খুলে দেয়া হলো রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পাঁচ মাস বন্ধের পর খুলে দেয়া হলো রাঙামাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য ঝুলন্ত সেতুটি। সেতুতে প্রবেশে বাধ্যবাধকতা রয়েছে মাস্ক পরিধানে। মাস্কবিহীন কারো কাছে টিকেট বিক্রি করছে না কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আরো কড়াকড়ি আরোপের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা।

এদিকে ঝুলন্ত সেতুটি খুলে দেয়ার পর মৌসুমি ফল বিক্রেতা, ট্যুরিস্ট বোটচালক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই স্বস্তিতে কাজে ফিরেছেন।

সোমবার ঝুলন্ত সেতুতে আগত কয়েকজন পর্যটক বলেন, করোনার প্রভাবে ঘরবন্দি থেকে জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। সেতুটি খোলার কারণে এখানে এলাম। মনে হচ্ছে যেন প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারছি।

তবে তাদের অভিযোগ, সেতুতে প্রবেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও ভেতরে ঢুকে কিছু মানুষ মাস্ক পরছে না। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত। আর সেতুর প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে সুরক্ষা আরো বাড়ানোর দাবি জানান তারা।

ট্যুরিস্টবোট চালক নূর মোহাম্মদ বলেন, পাঁচ মাস আমাদের চালক-সহকারীরা অবসরে ছিলেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছি। এখন ঝুলন্ত সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটক এলে হয়ত আমাদের দুর্ভোগ দূর হবে।

তিনি জানান, সোমবার বিকেলেই ২৫টি ট্যুরিস্ট বোট ঝুলন্ত সেতু থেকে সুবলংয়ের দিকে ছেড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন ২৫০-৩০০টি ট্যুরিস্ট বোট চলাচল করত।

ঝুলন্ত সেতুর টিকেট বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, টানা পাঁচ মাস এ সেতুতে পর্যটক প্রবেশ নিষেধ ছিল। সোমবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। আমরাও টিকেট বিক্রি শুরু করেছি। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও প্রথমদিন তুলনামূলক ভালো সাড়া পেয়েছি। তবে মাস্ক ছাড়া সেতুতে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। এছাড়া স্প্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারের নির্দেশনায় ১৮ মার্চ থেকে ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে এরইমধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি পালনে কড়াকড়ি আরোপ করে ঝুলন্ত সেতুও খুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সেতুতে কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। ভেতরে প্রবেশের পরও মাস্ক পরে থাকার জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

রাঙামাটির ডিসি এ.কে.এম মামুনুর রশিদ বলেন, পর্যটন কর্তৃপক্ষ আমার কাছে ঝুলন্ত সেতু খুলে দেয়ার অনুমতি চেয়েছিল। আমি বলেছি, আপনারা যদি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে পারেন তবে চালু করুন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর