অবশেষ ঈদের দিন ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি সেই ‘ভাগ্যরাজ’

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গতবছর ঈদে আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে না পেরে কপাল টলে খান্নু মিয়ার। তার শুরু হয় করোনা মহামারি, তার পরেই বন্যা। খদ্দের জুটবে কিনা এ নিয়ে পরেন বিপাকে। অনেকটা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে পালন করতে থাকেন ভাগ্যরাজকে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে ঈদের দিন বিক্রি হয়েছে ভাগ্যরাজ নামের সেই কোরবানির গরু। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভাগ্যরাজকে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন খামারি ইতি আক্তার। বিক্রির বিষয়টি ইতি আক্তার যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরের বাসিন্দা জনৈক সেনা কর্মকর্তার পিতার কাছে ভাগ্যরাজকে নগদ টাকায় বিক্রি করেছেন। গত বছর কোরবানি ঈদে ২০ লাখ টাকায় দাম হলেও বিক্রি হয়নি ভাগ্যরাজ।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম খান্নুর পালিত এক ষাঁড় গরুর নাম ভাগ্যরাজ। এ বছরে দেশের সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। তাইতো আদর করে ‘ভাগ্যরাজ’ নাম দিয়েছেন খামারি মেয়ে ইতি আক্তার।

ভাগ্যরাজকে নিয়ে যুগান্তর অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর পুরো এলাকায় হৈচৈ পরে যায়। সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গরুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সারা দেশে ভাইরাল হয়।

ভাগ্যরাজকে দেখতে প্রতিদিন ওই খামারি বাড়িতে ভিড় করেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, যশোর, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। আবার কেউ কেউ সেলফি তুলতেও ভুল করেন না।

খামারি ইতি আক্তার জানায়, আট ফুট লম্বা, ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা, বুকের বেড় ১২০ ইঞ্চি আর ওজন ২ হাজার ৯৪ কেজি! নাম তার ভাগ্যরাজ! বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে ৩ বছর ৮ মাস বয়সী ওই কোরবানির গরুটিকে।

জানা গেছে বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ২ হাজার টাকা। খাবারের মেন্যুতে থাকে কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, আঙুর ফল, আখের গুড়, ইসুব গুল, খৈল ও বেলের শরবতসহ আরও অন্যান্য দামী দামী খাবার দাবার। শুধু আদর যত্নেই নয় ভাগ্যরাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুলিশ টহল দেয় বাড়ির চারপাশের রাস্তায়।

এতো উন্নত আড়ম্বরপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠা যার, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সেই ভাগ্যরাজের মালিক গত বছর ২০ লাখেও বিক্রি করেনি। ভাগ্যরাজই আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে দেশের সবচাইতে বড় বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতি না থাকলে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতে খামারি ইতি আক্তার।অনেকটা বিপাকেই ছিল ভাগ্যরাজের মালিক খান্নু মিয়া।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর