চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে রহস্যজনক জেলি

চাঁদের যে দিকটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, তাতে রহস্যজনক এক পদার্থের সন্ধান পেয়েছে চীনের একটি মহাকাশ যান। জেল জাতীয় এই পদার্থটি ঠিক কী, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীদের মাঝে শোরগোল পড়ে গেছে। চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে প্রথম দেশ হিসেবে চেঞ্জ-৪ মিশন শুরু করে চীন। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মিশন ইতিমধ্যেই সাফল্য পাচ্ছে। এর আগে অ্যাপোলো-১৭ এর মহাকাশচারীরা এবং ভূবিজ্ঞানী হ্যারিসন স্মিট ১৯৭২ সালে চাঁদে কমলা রঙের মাটির সন্ধান পেয়েছিলেন।

চাঁদে একটি পূর্ণ দিন পৃথিবীর হিসেবে দুই সপ্তাহের সমান। এই হিসেবে মোট ৯ দিন চাঁদের মাটিতেই কাটিয়ে ফেলেছে এই রোবটিক মিশনে থাকা নভোযান ইউটু-২ রোভার এবং চেঞ্জ ৪ ল্যান্ডার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মিশন সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়ার আগে চাঁদের মাটি পর্যবেক্ষণ করে এই চন্দ্রযান দুটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে ৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ দিন বিশ্রামের পরে গত ২৫ জুলাই আবারও সক্রিয় হয়েছে এই মিশন। নতুন করে চালু হওয়ার পর ৭ আগস্ট পর্যন্ত ৮৯০ ফুট (২৭১ মিটার) পাড়ি দিয়েছে চীনের এই দুটি চন্দ্রযান।

২৮ জুলাই ইউটু-২ নভোযানটি নতুন করে সক্রিয় করার সময়ে রোভারের প্রধান ক্যামেরায় ওঠা ছবিগুলিকে যাচাই করার সময়ে একটি গর্তে রঙিন এক ধরনের জেল জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি দেখতে পান গবেষকরা। এই সময়ে অভিযান বন্ধ রেখে শক্তিশালী ক্যামেরাসহ ইউটু-২ ওই গর্তে নেমে ওই চ্যাটচ্যাটে জেলির মতো পদার্থের ছবি তোলে। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, এই জেলটি উল্কাপাতের ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে জমা হওয়া এক ধরনের গলিত কাঁচ। আপাতত এই জেল জাতীয় পদার্থ নিয়ে গবেষণা চলছে। চাঁদের মাটিতে গলিত কাঁচই কীভাবে এল- এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর