সুন্দর অসুন্দর তো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার

তামান্না সেতু

সুন্দর অসুন্দর তো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। তবে ২০০০ সাল পর্যন্ত এটলিস্ট একজন মেয়ে থেকে অন্যজন মেয়েকে আলাদা করা যেতো। বিয়ের দিন একজনের বউ থেকে অন্যজনের বউকে আলাদা করা যেতো।
এখন সব মিলিয়ে সাত/আট রকম চেহারার মেয়ে বা বউ আছে। কারো থেকে কাউকে আলাদা করা যায় না।
টিভিতে আমি আজ ৫ টা চ্যানেলের নাটক দেখে বল্লাম-‘শখ মেয়েটাকে এমন ফ্যাকাসে ফ্যাকাসে লাগছে কেন? মেয়েটার কি অসুখ করলো নাকি?’
পাশ থেকে রহিমা ৫ বার বলল-‘খালা, এইটা শখ আপা না মনে হয়। এইটা মনে হয় অমুক আপা বা তমুক আপা বা সমুক আপা!!’
রহিমা সারাদিন টিভি দেখে, তবুও সে কনফিডেন্স নিয়ে নাম বলতে পারছে না।
গত দু চার বছরে যতগুলো বিয়ে খেয়েছি, বউ কেমন দেখতে জানতে চাইলে বলেছি ‘ওই যেমন হয়’!
(অবশ্য বউ বেশিরভাগ দেখতেই পারি নাই। দুপুরের দাওয়াত, ৪টায় লাঞ্চ করেছি, তখনো বউ বিউটি পার্লার থেকে আসেনি)

মায়াবী চেহারা বলে একটা চেহারা ছিল, থুঁতনি ধরে বলতাম ‘কি মিষ্টি মেয়েটা বা কি তেজী চেহারা। হারিয়ে গেলো সব!

অথবা মেকাপের তলায় আছে হয়তো এখনো। একটা জোড় বৃষ্টি এসে সব ধুয়ে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করি। ছুড়ির ফলার মতো মুখগুলো বিতর্কের ডায়াসে, গোল্লাছুটের মাঠে, কোমড়ে আচল গুঁজে শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরে দেখেও শান্তি লাগে।

লেখক: পরিচালক, বাতিঘর (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর