ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বিঘা জুড়ে একটি আমগাছ! যত লাখ টাকা বিক্রি হলো আম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
  • ৪১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই বিঘা এলাকা জুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সেই ঐতিহাসিক সূর্যপুরী আম গাছটিতে ভাগ্য ফিরেছে সাইদুরের। গাছটির আম এবার আগাম বিক্রি হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। আমও ধরেছে প্রচুর। তবে ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কায় থাকলেও টাকা তুলে আরও লাভ করার আশা করছেন গাছটির আম লিজ নেয়া ব্যবসায়ী জামান। কৃষি বিভাগ মনে করছেন, সূর্যপুরি জাতের আম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি এলাকায় ২ বিঘারও অধিক এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সূর্যপুরি জাতের আম গাছটি ইতোমধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম আম গাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছে গাছটি দেখতে। গাছ মালিক সাইদুর রহমান এরইমধ্যে গাছের চারপাশ বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। ভেতরে যেতে জন প্রতি ১০ টাকা করে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার। এদিকে গাছের আমও প্রতিবছর বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকায়। দেড় লাখ টাকায় আম লিজ নিয়েছে ব্যবসায়ী জামান।

অন্যান্যবারের তুলনায় এবার প্রচুর আম এসেছে। জামানের বক্তব্য গাছে যে পরিমাণ আম এসেছে তাতে তার বেশ লাভ হবে। তবে ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। গাছের মালিক সাইদুর জানান, এ গাছের আমের খুব চাহিদা।

ঢাকা থেকে লোকজন ফোন করছেন তাকে। তিনি জৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের যোগাযোগ করতে বলেছেন। তার মতে এই গাছে বেশির ভাগ আম ঢাকায় যায় এবং এবারো যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে স্বপরিবারে আম গাছটি গাছ দেখতে আসা লায়লা বেগম জানান, গাছটি দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে। আমও ধরেছে প্রচুর। কিন্তু ছোট থাকায় এর স্বাদ নিতে না পারায় আকাঙ্খা থেকেই গেল। গাছ দেখতে আসা অনেকের অভিমত তার মতই।

গাছ মালিক সাইদুর একটি স্যাটেলাইট মিডিয়াকে জানান, পৈত্রিক সূত্রে তিনি এ গাছটি পেয়েছে। তার জানা মতে গাছটির বয়স দুইশ’ বছরের মতো। এ গাছ থেকে এখন তার বেশ আয় হয়। এ দিয়েই সংসার চালানোর পাশাপাশি বাড়িঘড় পাকা করেছেন।

কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন তাকে গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দুই বিঘা জুড়ে একটি আমগাছ! যত লাখ টাকা বিক্রি হলো আম

আপডেট টাইম : ০১:১৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই বিঘা এলাকা জুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সেই ঐতিহাসিক সূর্যপুরী আম গাছটিতে ভাগ্য ফিরেছে সাইদুরের। গাছটির আম এবার আগাম বিক্রি হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। আমও ধরেছে প্রচুর। তবে ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কায় থাকলেও টাকা তুলে আরও লাভ করার আশা করছেন গাছটির আম লিজ নেয়া ব্যবসায়ী জামান। কৃষি বিভাগ মনে করছেন, সূর্যপুরি জাতের আম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি এলাকায় ২ বিঘারও অধিক এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সূর্যপুরি জাতের আম গাছটি ইতোমধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম আম গাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছে গাছটি দেখতে। গাছ মালিক সাইদুর রহমান এরইমধ্যে গাছের চারপাশ বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। ভেতরে যেতে জন প্রতি ১০ টাকা করে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার। এদিকে গাছের আমও প্রতিবছর বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকায়। দেড় লাখ টাকায় আম লিজ নিয়েছে ব্যবসায়ী জামান।

অন্যান্যবারের তুলনায় এবার প্রচুর আম এসেছে। জামানের বক্তব্য গাছে যে পরিমাণ আম এসেছে তাতে তার বেশ লাভ হবে। তবে ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। গাছের মালিক সাইদুর জানান, এ গাছের আমের খুব চাহিদা।

ঢাকা থেকে লোকজন ফোন করছেন তাকে। তিনি জৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের যোগাযোগ করতে বলেছেন। তার মতে এই গাছে বেশির ভাগ আম ঢাকায় যায় এবং এবারো যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে স্বপরিবারে আম গাছটি গাছ দেখতে আসা লায়লা বেগম জানান, গাছটি দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে। আমও ধরেছে প্রচুর। কিন্তু ছোট থাকায় এর স্বাদ নিতে না পারায় আকাঙ্খা থেকেই গেল। গাছ দেখতে আসা অনেকের অভিমত তার মতই।

গাছ মালিক সাইদুর একটি স্যাটেলাইট মিডিয়াকে জানান, পৈত্রিক সূত্রে তিনি এ গাছটি পেয়েছে। তার জানা মতে গাছটির বয়স দুইশ’ বছরের মতো। এ গাছ থেকে এখন তার বেশ আয় হয়। এ দিয়েই সংসার চালানোর পাশাপাশি বাড়িঘড় পাকা করেছেন।

কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন তাকে গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ