হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিরা। পরিচিত একটি মসলা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও রান্নায় যার ব্যবহার অনেক বেশি। রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও জিরার রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। আর জিরার এই বাড়তি গুণ পেতে পান করতে হবে জিরা পানি। সেক্ষেত্রে জিরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পান করতে হবে ‘জিরা পানি’। যুগ যুগ ধরেই বিভিন্ন রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে মানুষ জিরা পানি খেয়ে আসছেন। এর পুষ্টিগুণও অনেক। ফুটন্ত পানিতে জিরা দিয়ে দশ মিনিট ফুটিয়ে তারপর ছেঁকে, ঠাণ্ডা করে পান করতে হবে এই জিরা পানি। জিরা পানির উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জেনে নিই।
ওজন কমাতে সহায়ক: জিরা পানি পান করলে ক্ষুধা নিবারণ হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে জিরা পানি পান করতে পারেন। এতে খাওয়ার চাহিদা কমে যাবে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে ওজন কমাতে চাইলে জিরা পানির সঙ্গে মিষ্টি কোনো কিছু মেশাবেন না।
শরীরের বিষক্রিয়া কমাতে: শরীরের টক্সিন বা বিষক্রিয়া কমাতে জিরা পানির জুড়ি নেই। জিরা লিভার এবং পাকস্থলীর জন্যও অনেক ভালো। কারণ জিরাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি থাকায় এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে: জিরা পানি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। যারা মোটামুটি অল্প বয়স থেকে জিরা পানি পান করে আসছেন, অন্যদের তুলনার তাদের স্মৃতিশক্তি বেশি ভালো হয়ে থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে: জিরা পানি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে জিরা পানি খেলে হজমজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: জিরার অনেক পুষ্টিগুণ থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সবজির সঙ্গে খাওয়ার চেয়ে জিরা পানি পান করলে বেশি কাজে দেয়।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে: জিরা প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যার ফলে এটি রক্তশুন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া এটি রক্তে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে: জিরা পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত জিরা পানি পান করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: জিরা পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা দিনে দুইবার জিরা পানি পান করতে পারেন।
পানিশুন্যতা রোধ করতে: জিরা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। জিরা পানি পান করলে তা শরীরের পানিশুন্যতা রোধ করে।
অ্যাসিডিটি কমাতে: একসঙ্গে অনেক খাবার খেয়ে ফেললে বা বিভিন্ন স্বাদের খাবার একই সময়ে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা এড়াতে খাওয়ার পর পরই পান করতে পারেন জিরা পানি।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহে: নিয়মিত জিরা পানি পান করলে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই পাওয়া যায়, যা আমাদের বার্ধক্যের সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়া নিয়মিত জিরা পানি পান করলে মুখে ব্রণ হওয়া রোধ হয়। এটি ত্বকের যত্নে বেশ ভালো। ত্বকসহ শরীরের জ্বালাপোড়া কমাতেও জিরা পানি সাহায্য করে।