হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশকে স্বাধীন করতে সংগ্রামে যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন তাদেরকে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। এমন স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ইউনুছ আলী। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জের বেত্রাটি বেপারীপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার ইলিয়াস চৌধুরীর অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউনুছ আলী কর্নেল এমএজি ওসমানী স্বাক্ষরিত সনদ লাভ করেন। আরও বেশকিছু প্রমাণাদি আছে তার কাছে।
এগুলো হল, কর্নেল এমএজি ওসমানীর সনদ, সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের প্রশংসাপত্র, অস্ত্র জমার রশিদ, কোম্পানি কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, গ্রুপ কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, আঞ্চলিক অধিনায়কের প্রশংসাপত্র, ডেপুটি কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র এবং সহযোদ্ধাদের লিখিত প্রত্যয়নপত্র।
প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েও তালিকায় নাম না থাকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারছেন না। নিজ গ্রামের মানুষ বিশেষ করে অন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলে ডাকলেও কাগজে-কলমে তার স্বীকৃতি মিলেনি আজও।
৭৫ বছর বয়সী ইউনুছ আলী এখন ঝাপসা চোখে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থন করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক জেলা কমান্ডার আসাদ উল্লাহ বলেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকলে স্বীকৃতি পাওয়াটা একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য অধিকার।