ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনাক্ত হচ্ছে, সারা দেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলভবন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদ ভেঙে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারা দেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো চিহ্নিত করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার বরগুনার তালতলীতে ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের ছাদ ভেঙে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা (৮) নিহত এবং আরও ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই ঘটনার পর দিন রোববার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণের আদেশ জারি করে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আদেশে শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রয়োজনে উপজেলা প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়।

অবশেষে তালা ঝুলল ঝুঁকিপূণ সেই স্কুল ভবনে :
এদিকে, পলেস্তরা খসে শিক্ষার্থী হতাহতের পর বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছোটবগী পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরিত্যক্ত ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করা হয়েছে বলে ইউএনও দীপায়ন জানান। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুল ভবনটি নির্মাণের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।

২০০২ সালে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেতু এন্টারপ্রাইজ। এর মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের ভাগ্নে।

নির্মিত ভবনটি তিন বছর আগেই ব্যবহারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে উপজেলার ঊর্ধ্বতনদের চিঠি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সে সময় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। কিন্তু সংস্কার বা পরিত্যক্ত ঘোষণার কোনো সাড়া না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই এতদিন পাঠদান চলছিল স্কুলটিতে। যার ফল হিসেবে স্কুল নির্মাণের মাত্র ১৬ বছরের মাথায় মাশুল গুনতে হলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে আমতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ স্কুল ভবন নির্মাণ করে। ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেতু এন্টারপ্রাইজ। ওই সময় ভবনটি নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাকেরিন জাহান বলেন, ভবনটি গত তিন বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। জরাজীর্ণের বিষয়টি তালতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কাজী মনিরুজ্জামান রিপনকে অবহিত করেছি এবং তিনি বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন কিন্তু ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেননি। বাধ্য হয়ে ওই জরাজীর্ণ ভবনেরই পাঠদান করাতে হচ্ছে।

তালতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মনিরুজ্জামান রিপন জরাজীর্ণ ভবনের কথা স্বীকার করে বলেন, ২০০২ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সেই ভবন মাত্র ১৬ বছরের মাথায় ভেঙে শিক্ষার্থী মারা যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে এ বিষয়টি তালতলী উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি আমার কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে এমন কথা আমাকে কেউ জানায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিম ধসে পড়েছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়টি নির্মাণ নিন্মমানের :
বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহতের ঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার সকালে পরিদর্শন শেষে বিদ্যালয়টি নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সাবের হোসেন।

গত শনিবার তালতলী উপজেলার ছোটবগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান চলাকালে ছাদ ধসে এক ছাত্রী নিহত ও নয়জন আহত হয়। ওই ঘটনায় গতকাল রোববার হাইকোর্টে নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।

ওই ঘটনায় সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং বরগুনা জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. সাবের হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-০১) মো. মাহবুবুর রশিদ।

এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুব আলম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান, তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত হুমায়ুন কবীর।

তারা ভবনের ছাদ ধসে যে কক্ষে শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল সেই কক্ষসহ সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্তকারী টিমের সদস্যরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শনাক্ত হচ্ছে, সারা দেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলভবন

আপডেট টাইম : ১২:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদ ভেঙে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারা দেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো চিহ্নিত করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার বরগুনার তালতলীতে ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের ছাদ ভেঙে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা (৮) নিহত এবং আরও ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই ঘটনার পর দিন রোববার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণের আদেশ জারি করে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আদেশে শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রয়োজনে উপজেলা প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়।

অবশেষে তালা ঝুলল ঝুঁকিপূণ সেই স্কুল ভবনে :
এদিকে, পলেস্তরা খসে শিক্ষার্থী হতাহতের পর বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছোটবগী পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরিত্যক্ত ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করা হয়েছে বলে ইউএনও দীপায়ন জানান। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুল ভবনটি নির্মাণের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।

২০০২ সালে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেতু এন্টারপ্রাইজ। এর মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের ভাগ্নে।

নির্মিত ভবনটি তিন বছর আগেই ব্যবহারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে উপজেলার ঊর্ধ্বতনদের চিঠি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সে সময় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। কিন্তু সংস্কার বা পরিত্যক্ত ঘোষণার কোনো সাড়া না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই এতদিন পাঠদান চলছিল স্কুলটিতে। যার ফল হিসেবে স্কুল নির্মাণের মাত্র ১৬ বছরের মাথায় মাশুল গুনতে হলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে আমতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ স্কুল ভবন নির্মাণ করে। ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেতু এন্টারপ্রাইজ। ওই সময় ভবনটি নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাকেরিন জাহান বলেন, ভবনটি গত তিন বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। জরাজীর্ণের বিষয়টি তালতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কাজী মনিরুজ্জামান রিপনকে অবহিত করেছি এবং তিনি বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন কিন্তু ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেননি। বাধ্য হয়ে ওই জরাজীর্ণ ভবনেরই পাঠদান করাতে হচ্ছে।

তালতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মনিরুজ্জামান রিপন জরাজীর্ণ ভবনের কথা স্বীকার করে বলেন, ২০০২ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সেই ভবন মাত্র ১৬ বছরের মাথায় ভেঙে শিক্ষার্থী মারা যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে এ বিষয়টি তালতলী উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি আমার কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে এমন কথা আমাকে কেউ জানায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিম ধসে পড়েছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়টি নির্মাণ নিন্মমানের :
বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহতের ঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার সকালে পরিদর্শন শেষে বিদ্যালয়টি নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সাবের হোসেন।

গত শনিবার তালতলী উপজেলার ছোটবগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান চলাকালে ছাদ ধসে এক ছাত্রী নিহত ও নয়জন আহত হয়। ওই ঘটনায় গতকাল রোববার হাইকোর্টে নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।

ওই ঘটনায় সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং বরগুনা জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. সাবের হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-০১) মো. মাহবুবুর রশিদ।

এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুব আলম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান, তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত হুমায়ুন কবীর।

তারা ভবনের ছাদ ধসে যে কক্ষে শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল সেই কক্ষসহ সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্তকারী টিমের সদস্যরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।