ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনো স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি সুখকর হয়নি : ন্যাপ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫
  • ৫৫০ বার

বেতন বাড়িয়ে শেষ রক্ষা হবে না সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ৯১.১১ ভাগ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠ প্রকাশ এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কিছুদিন আগে দেশের কমবেশি ২১ লাখ কর্মচারীরও বেতন বেড়েছে। ২১ লাখের সঙ্গে এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, স্পিকার, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মিলে সংখ্যাটি খুব সামান্যই হবে। তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এদের মধ্য হয়তো উপার্জনক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৮ থেকে ৬০ ভাগ। উপার্জনে অক্ষম সংখ্যাটি হবে ৯ থেকে ১০ কোটি। আর বেতন বাড়ল মাত্র ২১ লাখ মানুষের। এতে প্রমাণিত হলো আমরা আমজনতারা অভাগা। সরকার এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা করছে বলেও দাবি করেন ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি দেশের সব মানুষের প্রধানমন্ত্রী। জনগণকে দুই ভাগে ভাগ করে আপিন একভাগের প্রধানমন্ত্রী হবেন না। শুধু সরকারি জনগণের বেতন বৃদ্ধি না পায়, সাধারণ মানুষের বেতনও যেন বৃদ্ধি পায়। বিবৃতিতে ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, শুধু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আর মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন বাড়িয়ে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তারা বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে, পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকই মনে করতো জনগণ নয়, প্রজাতান্ত্রের কর্মচারী আর দলীয় সদস্যরাই রক্ষা করবে সরকারকে। কিন্তু সত্য হলো, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকরী কোনো স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি কখনো সুখকর হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কোনো স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি সুখকর হয়নি : ন্যাপ

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫

বেতন বাড়িয়ে শেষ রক্ষা হবে না সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ৯১.১১ ভাগ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠ প্রকাশ এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কিছুদিন আগে দেশের কমবেশি ২১ লাখ কর্মচারীরও বেতন বেড়েছে। ২১ লাখের সঙ্গে এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, স্পিকার, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মিলে সংখ্যাটি খুব সামান্যই হবে। তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এদের মধ্য হয়তো উপার্জনক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৮ থেকে ৬০ ভাগ। উপার্জনে অক্ষম সংখ্যাটি হবে ৯ থেকে ১০ কোটি। আর বেতন বাড়ল মাত্র ২১ লাখ মানুষের। এতে প্রমাণিত হলো আমরা আমজনতারা অভাগা। সরকার এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা করছে বলেও দাবি করেন ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি দেশের সব মানুষের প্রধানমন্ত্রী। জনগণকে দুই ভাগে ভাগ করে আপিন একভাগের প্রধানমন্ত্রী হবেন না। শুধু সরকারি জনগণের বেতন বৃদ্ধি না পায়, সাধারণ মানুষের বেতনও যেন বৃদ্ধি পায়। বিবৃতিতে ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, শুধু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আর মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন বাড়িয়ে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তারা বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে, পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকই মনে করতো জনগণ নয়, প্রজাতান্ত্রের কর্মচারী আর দলীয় সদস্যরাই রক্ষা করবে সরকারকে। কিন্তু সত্য হলো, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকরী কোনো স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি কখনো সুখকর হয়নি।