জীবন বাঁচাতে ১০ তলা লাফ দেন দম্পতি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বনানীর এফ আর টাওয়ারের ১০ তলায় একটি ট্রাভেলস এজেন্সিতে কাজ করতেন মাকসুদুর রহমান ও রুমকি আক্তার দম্পতি। শুক্রবার দুপুরে আগুন লাগার পর জীবন বাঁচাতে জানালার কাঁচ ভেঙে নিচে লাফ দেন তারা। কিন্তু তাতেও বাঁচানো যায়নি মাকসুদ ও রুমকিকে। মৃত্যুতেও অবিচ্ছিন্ন রয়ে গেলেন তারা।

মাকসুদের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ জানান, এই দম্পতি হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনটিতে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পর আহত কয়েকজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে মাকসুদসহ (৩২) তিনজন আগেই মারা গিয়েছিলেন বলে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। ওই তিনজনই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হন বলে উদ্ধারকারীদের ভাষ্য।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনায় দগ্ধ এক নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে রুমকি আক্তারের (৩০) লাশ শনাক্ত করেন ইমতিয়াজ নামে তাদের ওই স্বজন।

ইমতিয়াজ বলেন, পুরান ঢাকার ফরিদাবাদে থাকতেন তারা। মাকসুদ ঢাকার ছেলে, আর রুমকির বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়।

তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে জানিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, তাদের কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। মাকুসদের মা ও বোনকে নিয়ে তারা এক বাসায় থাকতেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর