প্রায় এক দশকের রক্ষণশীল শাসনের অবসান ঘটিয়ে কানাডার সাধারণ নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পথে বিরোধী দলে থাকা লিবারেল পার্টি। এর মধ্য দিয়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার পরাজয় স্বীকার করে লিবারেল পার্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তরুণ রাজনীতিক জাস্টিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে নয় বছর শেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে তাকে।
রাষ্ট্রীয় কৃচ্ছ্রসাধন এবং সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতায় কঠোর হওয়ায় জনগণ হারপারের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভোটে। আর এই সুযোগে ইতিহাস গড়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে এসেছে লিবারেল পার্টি। এর আগের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ছিল তৃতীয় অবস্থানে। সরকারের এক মেয়াদের ব্যবধানে তৃতীয় থেকে প্রথম হয়ে গেল দলটি। স্বাভাবিকভাবে এমন নজির বিশ্বে খুবই বিরল।
সোমবার নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর টরন্টোতে উল্লসিত জনতার উদ্দেশে জাস্টিন বলেন, ‘আমার বন্ধুরা, আমরা ভয়কে আশা দিয়ে জয় করেছি। নৈরাশ্যবাদকে আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জিতেছি। অশুভ ও বিভক্ত রাজনীতিকে আমরা শুভ ইচ্ছা দিয়ে জয় করেছি, যা কানাডীয়দের এক কাতারে এনেছে। ইতিবাচক রাজনীতি যা করতে পারে, এ হলো তাই।’
জাস্টিনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিথিল সম্পর্কের উন্নয়ন, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান থেকে কানাডাকে প্রত্যাহার করে মানবিক কাজে নিয়োজিত হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করা।
কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো। ছোটবেলায় অটোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ছিলেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। এবার সেই বাসভবনের মালিক হচ্ছেন নিজেই।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স ও আলজাজিরা অনলাইন।