ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারেন্ট জালজুড়ে আটকে ছিল জাটকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
  • ৩৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অব্যাহতভাবে সতর্কতামূলক প্রচারের পরও জাটকা নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরতে নদীতে নেমে পড়ছেন জেলেরা। গতকাল সোমবার চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, দুই মণ জাটকা ও ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা জব্দ করেছে প্রশাসন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স এই অভিযান চালায়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, নৌ–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাহের, কোস্টগার্ড ও নৌ–পুলিশের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, জাটকা নিধন প্রতিরোধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালনা হয়।

পাশাপাশি পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে থেমে থেমে জেলেদের মধ্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, অভিযানের সময় যেসব কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়, তার প্রতি ইঞ্চিতে আটকে ছিল জাটকা আর জাটকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, এভাবে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জাল, মাছ ও নৌকা জব্দ করা হচ্ছে। জেলেদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। গত ১১ দিনে ২৫ জন জেলেকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরও জেলেদের কোনোভাবেই নদীতে নামা থেকে পুরোপুরি বিরত রাখা যাচ্ছে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কারেন্ট জালজুড়ে আটকে ছিল জাটকা

আপডেট টাইম : ০৫:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অব্যাহতভাবে সতর্কতামূলক প্রচারের পরও জাটকা নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরতে নদীতে নেমে পড়ছেন জেলেরা। গতকাল সোমবার চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, দুই মণ জাটকা ও ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা জব্দ করেছে প্রশাসন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স এই অভিযান চালায়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, নৌ–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাহের, কোস্টগার্ড ও নৌ–পুলিশের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, জাটকা নিধন প্রতিরোধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালনা হয়।

পাশাপাশি পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে থেমে থেমে জেলেদের মধ্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, অভিযানের সময় যেসব কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়, তার প্রতি ইঞ্চিতে আটকে ছিল জাটকা আর জাটকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, এভাবে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জাল, মাছ ও নৌকা জব্দ করা হচ্ছে। জেলেদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। গত ১১ দিনে ২৫ জন জেলেকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরও জেলেদের কোনোভাবেই নদীতে নামা থেকে পুরোপুরি বিরত রাখা যাচ্ছে না।