ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে কী বললেন আপিল বিভাগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। এই মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসা থেকে এ বিচার করা হয়েছিল।

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্যবেক্ষণ দেন।

হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেন, প্রতিহিংসা থেকে এ বিচার করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সব আসামি নিরপরাধ। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া রায়ে এটি বলা হয়। মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ আর পুরো বিচারের প্রক্রিয়াটিই ছিল প্রতিহিংসামূলক।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বেগম জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল আসামিদের যে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, আজ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হারানো সম্মান ফিরে পাবেন তারা।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জয় হলো। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা মামলাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করা হলেও কোনো আদালতই এর কর্ণপাত করেননি । অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামি।

উল্লেখ্য, আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ায় বেগম জিয়াকে কারাগারে যেত হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিএনপির নেত্রীর সাজা বাড়িয়ে করা হয় ১০ বছর। এ মামলায় ২ বছর ১ মাস ১৩ দিন জেল খাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে কী বললেন আপিল বিভাগ

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। এই মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসা থেকে এ বিচার করা হয়েছিল।

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্যবেক্ষণ দেন।

হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেন, প্রতিহিংসা থেকে এ বিচার করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সব আসামি নিরপরাধ। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া রায়ে এটি বলা হয়। মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ আর পুরো বিচারের প্রক্রিয়াটিই ছিল প্রতিহিংসামূলক।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বেগম জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল আসামিদের যে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, আজ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হারানো সম্মান ফিরে পাবেন তারা।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জয় হলো। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা মামলাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করা হলেও কোনো আদালতই এর কর্ণপাত করেননি । অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামি।

উল্লেখ্য, আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ায় বেগম জিয়াকে কারাগারে যেত হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিএনপির নেত্রীর সাজা বাড়িয়ে করা হয় ১০ বছর। এ মামলায় ২ বছর ১ মাস ১৩ দিন জেল খাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।