হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানিকগঞ্জের দুই পুলিশ সদস্যের হাতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ডাক বাংলোতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা কতৃক তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আট জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। তার সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।পরে ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে আদালত এ বিষয়ে কোন আদেশ দেননি।
প্রসঙ্গত, সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ডাক বাংলোতে আটকে রেখে ধর্ষণ ও মাদক সেবন করানোর অভিযোগ করেন সাভারের এক নারী।
এরপর জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগটি পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দীকীকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পায় এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।