সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংঘটিত সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে কানাডা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সরেজমিন অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে মঙ্গলবার কানাডার হাইকমিশনার বিন পিরে লারামে। এদিন সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে জানান হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বিন পিরে লারামে।
ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক ভোগান্তি দূর করায় হাইকমিশনার সরকারের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, হাইকমিশনার মন্ত্রীকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা বন্ধ করতে এ নির্বাচন জনগণের পক্ষে কাজ করছে।’ বিন পিরে লারামে নির্বাচনের দিন মিরপুরের নির্বাচনী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন, মন্ত্রীকে এই তথ্য জনিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের মাঝপথে বয়কট করে। আমি কিন্তু মিরপুরের অনেক কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে দেখেছি।’
এদিকে, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংগঠিত বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে হাইকমিশনার দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য হাইকমিশনার সুশাসন, শান্তি এবং গণতন্ত্র এর ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও জানা গেছে, সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ-কানাডার দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে কীভাবে আরও গভীর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কানাডার হাইকমিশনার পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করতে চায় কানাডা। এ ছাড়া বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে কানাডা পাশে থাকবে।