চরের জমিতে তরমুজ চাষে বিপ্লব
-
Reporter Name
-
আপডেট টাইম :
১২:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
-
৩
বার
যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ লতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সবুজ তরমুজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তরমুজের আবাদ, বাতাসে দোল খাচ্ছে গাছের লতা। দেখে মনে হবে মাটির মধ্যে তরমুজ ফেলে রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা জমি থেকে তরমুজ তলে টুকরি ভর্তি করে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকে তুলছে।
পাইকাররা এসব তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এমনই চিত্রের দেখা মিলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলের পতিত জমিগুলোতে। এখানে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষে বিপ্লব ঘটেছে, এবার প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শত কোটি টাকার তরমুজ বাজারজাত করার আশাবাদী কৃষকরা।
তিন বছরের ব্যবধানে চাষের পরিধি বেড়েছে কয়েকগুন।স্থানীয়রা জানায়, মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে যারা তরমুজ চাষ করছেন তারা নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচার উপজেলার বাসিন্দা। আগে সেখানকার মাঠে মাঠে তরমুজ চাষ হলেও একই জমিতে বারবার তরমুজ চাষ করায় সেসব জমি চাষের উপযোগীতা হারিয়েছে। মিরসরাই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় চাষিরা খোঁজ নিয়ে এখানে তরমুজ আবাদ করছেন।
মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে প্রত্যেক বছর রবি মৌসুমে ইছাখালী, মঘাদিয়া, মায়ানী ও সাহেরখালী ইউনিয়নের চরের অধিকাংশ জায়গা পতিত হয়ে পড়ে থাকতো। সেসব পতিত জমির মাটিগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করেন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার তরমুজ চাষিরা। এরপর দোঁআশ মাটি (বালিযুক্ত) ও উপযুক্ত পরিবেশ হওয়ায় ২০২২ সালে প্রথম মিরসরাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে ১৪৫ একর জমিতে তরমুজ শুরু করেন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। ফলন ভালো হওয়ায় পরের বছর তাকে অনুসরণ করে আরো বেশ কয়েকজন তরমুজ চাষ করেন।স্থানীয় কৃষকদের থেকে ৩ মাসের জন্য প্রতি একর জমি ১৫ হাজার টাকা খাজনায় বর্গা নেন চাষিরা।
Tag :