ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাকিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায়নি র‌্যাব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪৪১ বার

জবানবন্দি দেয়ার পরও একই মামলায় পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের অনুমতি পায়নি র‌্যাব। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে শাকিলাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ‍তার জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল র‌্যাব। একই মামলায় একই আদালতে হত ২৬ আগস্ট শাকিলা জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
একই মামলায় জবানবন্দি দেয়ার পরও আবার রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন শাকিলার আইনজীবীরা। ১২ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি হয়েছিল। এরপর আদালত ১৮ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন।
শাকিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে, কোন মামলায় আসামি একবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে ওই মামলায় আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবেনা। কিন্তু র‌্যাব উচ্চ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে। শাকিলার রিমান্ড মঞ্জুর হলে উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করা হবে বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। এতে স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হবে বলেও আমরা আদালতে বলেছি।
জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২৩ ধারায় শাকিলা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ওই আইনের কোথাও লেখা নেই যে একবার জবানবন্দি দিলে তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেয়া যাবেনা। আদালতের প্রচলিত রীতি হচ্ছে, রিমান্ড মঞ্জুর হয় জবানবন্দি দেয়ার আগ পর্যন্ত। তবে যেহেতু শাকিলা ফারজানার সঙ্গে জামায়াত, হামজা ব্রিগেড, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে সুতরাং রীতির বাইরে গিয়ে তার রিমান্ড মঞ্জুর হলে ক্ষতি ছিলনা।
আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। এই আদেশ আমাদের সংক্ষুব্ধ করেছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ জেলা ও দায়রা জজের কাছে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।
উল্লেখ্য জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থ দেয়ার অভিযোগে ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হল, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯)। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য পদেও আছেন তিনি।
অপর দুজন হলেন অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫)।
এদের মধ্যে শাকিলা ফারজানা ও হাসানুজ্জামান লিটন সুপ্রিম কোর্টে এবং মাহফুজ চৌধুরী বাপন ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায়নি র‌্যাব

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

জবানবন্দি দেয়ার পরও একই মামলায় পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের অনুমতি পায়নি র‌্যাব। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে শাকিলাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ‍তার জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল র‌্যাব। একই মামলায় একই আদালতে হত ২৬ আগস্ট শাকিলা জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
একই মামলায় জবানবন্দি দেয়ার পরও আবার রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন শাকিলার আইনজীবীরা। ১২ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি হয়েছিল। এরপর আদালত ১৮ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন।
শাকিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে, কোন মামলায় আসামি একবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে ওই মামলায় আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবেনা। কিন্তু র‌্যাব উচ্চ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে। শাকিলার রিমান্ড মঞ্জুর হলে উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করা হবে বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। এতে স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হবে বলেও আমরা আদালতে বলেছি।
জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২৩ ধারায় শাকিলা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ওই আইনের কোথাও লেখা নেই যে একবার জবানবন্দি দিলে তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেয়া যাবেনা। আদালতের প্রচলিত রীতি হচ্ছে, রিমান্ড মঞ্জুর হয় জবানবন্দি দেয়ার আগ পর্যন্ত। তবে যেহেতু শাকিলা ফারজানার সঙ্গে জামায়াত, হামজা ব্রিগেড, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে সুতরাং রীতির বাইরে গিয়ে তার রিমান্ড মঞ্জুর হলে ক্ষতি ছিলনা।
আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। এই আদেশ আমাদের সংক্ষুব্ধ করেছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ জেলা ও দায়রা জজের কাছে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।
উল্লেখ্য জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থ দেয়ার অভিযোগে ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হল, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯)। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য পদেও আছেন তিনি।
অপর দুজন হলেন অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫)।
এদের মধ্যে শাকিলা ফারজানা ও হাসানুজ্জামান লিটন সুপ্রিম কোর্টে এবং মাহফুজ চৌধুরী বাপন ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত আছেন।