যে কারণে জুমআর নামাযে আগে উপস্থিত হবেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জুমআর দিন মুসলমানের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। বুখারি শরীফে এসেছে, উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুমআর দিনটিকে সম্মান করা ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরয করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন।

আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিয়েছে। (বুখারী: ৮৭৬, ইফা ৮৩২; মুসলিম: ৮৫৫) জুমআর দিনের প্রধান ইবাদত হল জুমআর নামায। আর তাই এ নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। জুমআর দিন আগে আগে জামে মসজিদে সমবেত হতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বিশেষ ফযিলতের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

«مَنِ اغْتَسَلَ يَومَ الجُمُعَةِ غُسْلَ الجَنَابَةِ، ثُمَّ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الأُولَى فَكَأنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ، فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ كَبْشاً أَقْرَنَ، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الخَامِسَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإمَامُ، حَضَرَتِ المَلاَئِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ».

অর্থ : “যে ব্যক্তি জুমার দিন নাপাকি হতে পবিত্রতা অর্জনের গোসলের ন্যায় গোসল করল এবং (সূর্য ঢলার সঙ্গে সঙ্গে) প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে এল, সে যেন একটি উঁট দান করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি গাভী দান করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি শিংবিশিষ্ট দুম্বা দান করল। যে ব্যক্তি চতুর্থ সময়ে এলো, সে যেন একটি মুরগী দান করল। আর যে ব্যক্তি পঞ্চম সময়ে এলো, সে যেন একটি ডিম দান করল। তারপর ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হন, তখন (লেখক) ফেরেশতাগণ যিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে যান।” (সহীহ বুখারী: ৮৮১; মুসলিম: ৮৫০; তিরমিযী: ৪৯৯)

তাই আমরা পূর্ব প্রস্তুতি সহকারে জুমআর নামাযে আগে আগে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের তাফিক দান করুন। আমীন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর