হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কৃষকদের জমি তৈরী বোরো ধানের চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা অবধি নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে বোরো ধানের চাষাবাদ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে এখন। এক কথায় বলা যায় বোরো চারা রোপনের ধুম পড়েছে নিকলী উপজেলার সর্বত্র। উপজেলা কৃষি অফিস জানায় চলতি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে।
গত মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ১৫ হেক্টর আর চাষাবাদ হয় ১৫ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। যাহা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১০ হেক্টর জমি বেশি চাষাবাদ করা হয়েছিল। বরাবরেই কৃষকগণ বোরো চাষে নানা প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হন এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বোরো চাষের জন্য মূলত রাসায়নিক সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ। পোকা-মাকড়ের হাত হতে জমি রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের এ তিনটি মৌলিক চাহিদার কোনটার ঘাটতি হলে ফসলের ফলন ভাল আশা করা অসম্ভব।
প্রতিকূল আবহওয়া ও উপরোক্ত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হলেই কৃষকগণ ভাল বোরো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন। বোরো ধানের চারা রোপনের সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশী পরিমাণ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। উপজেলার সিংপুর গ্রামের কৃষক আলতু মিয়া জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পৌষের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ। তাই কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সিংপুর গ্রামের আরেক কৃষক সোনাম উদ্দিন বলেন, বর্ষার পানি আগেই চলে যাওয়ায় আগাম ইরি-বোরো ধান রোপন সহজ হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ধান রোপনের একজন শ্রমিক ৫০০ টাকা মজুরিতে হাতের নাগালেই পাওয়ায় তারা খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ইতিমধ্যে কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন। বর্ষার পানি আগেই নেমে যাওয়ায় নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে পুরো হাওর এলাকায় ইরি-বোরো চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে আশা করছি।