ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ মোদি সরকার। আগে যে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকারের মর্যাদা পেত, আজ সে দেশে তা দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ধর্মীয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাপ্রাপ্ত। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে এই ভাষাতেই অভিযুক্ত করা হয়েছে ভারতের বর্তমান সরকারকে। আমেরিকার বিদেশ বিষয়ক সচিব জন কেরি বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে, বর্তমানে ভারতের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ছটি রাজ্যে জোর করে ধর্মান্ততরিত করণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় মোদি সরকারের আমলে ভারতে ধর্মীয় বিবাদও বহুগুণ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন প্রশাসনের প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ধর্মীয় কারণে দাঙ্গা, খুন, গ্রেফতার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সাধারণ মানুষ তার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকা লঙ্গনের আশঙ্কায় ভুগছে। বদলে যাচ্ছে দেশের ধর্মীয় কাঠামো। উদাহরণ দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর গুজরাতের রুস্তমপুরা থেকে মেহদি হাসান নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গুজরাতের এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘নবরাত্রি’ নিয়ে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করে মন্তব্য করাই ছিল তার অপরাধ।
ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাসানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়, তিনি হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এর জন্য এক সপ্তাহ কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় মেহদি হাসানকে। আবার মধ্যপ্রদেশে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ‘অপরাধে’ চারজন দলিত হিন্দু নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ, মার্কিন প্রশাসনের মতে, গুজরাট দাঙ্গা কিংবা শিখবিরোধী দাঙ্গা সংক্রান্ত বহু মামলাই প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিলের অভাবে ঝুলে রয়েছে।
এই মুহূর্তে আবারও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নানাভাবে আঘাত নেমে আসছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। তাই ভারতবাসীকে ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে মোদি সরকার ব্যর্থ বলে মার্কিন রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।