রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ভোক্তাস্বার্থ রক্ষার্থে বিএসটিআইকে মেধা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর -বাসস।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিশ্ব মান দিবস পালিত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তৃণমূল পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রধান তিনটি আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএসও, আইইসি, এবং আইটিইউ থেকে এ বছর বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্ট্যান্ডার্ডস দ্যা ওয়ার্ল্ডস কমন ল্যাংগুয়েজ’। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ‘মান’ এর সামঞ্জস্যতা রক্ষা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণে এ বছরের প্র্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্রুত বিকাশমান তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমানে সারা বিশ্বকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের প্রত্যাশাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে পণ্য ও সেবার উৎপাদন প্রক্রিয়া হতে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসমূহ বিশ্বব্যাপী একই মানের পণ্য ও সেবা সকলের নিকট সহজলভ্য করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পণ্যের উৎপাদন ও সেবা প্রদান প্রক্রিয়ায় সঠিক ‘মান’ অনুসরণ করা হলে ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি ব্যাবসা বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইকে পণ্য ও সেবার গুণগত মান নির্ধারণ ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠুভাবে এ সকল কর্মকা- সম্পাদনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিকাশ, মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও দেশীয় পণ্যের মানকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপযোগী করে তোলাই হবে বিএসটিআই’র মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ভেজাল প্রতিরোধ এবং নকল ও নিম্নমানের পণ্য বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে বিএসটিআইকে বাজার পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব মান দিবস পালনের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে জনসচেতনতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।