ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকাল বেলায় ৭ দিন পান্তা ভাত খান, ফলাফল নিজেই দেখুন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঙালী মাত্রেই পান্তাভাত প্রেমী। পান্তাভাত খেয়ে দিবানিদ্রা দেয়নি এরকম বাঙালি হয়তো অনেক কষ্টে খুঁজে পাওয়া যাবে। চানাচুর, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ সহযোগে পান্তাভাত হল অমৃত। আসলে পান্তাভাত হল সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি। রাতের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য এই ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল দিয়ে প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়।

ভাত পুরোটাই শর্করা। ভাতে জল দিয়ে রাখলে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বা ইস্ট এই শর্করা ভেঙ্গে ইথানল ও ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরির ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (pH কমে) তখন পচনকারী ও অন্যান্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ভাত নষ্ট করতে পারে না।

১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে (১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর) ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পান্তাভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম; যেখানেসমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩ মিলিগ্রাম যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।

পান্তা ভাত ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। পান্তাভাত শর্করাসমৃদ্ধ জলীয় খাবার। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরের জলের অভাব মেটায় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাবার। মানবদেহের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে ওঠে।

পেটের রোগ ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। এ ভাতে পেটের পীড়া ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে। পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সকাল বেলায় ৭ দিন পান্তা ভাত খান, ফলাফল নিজেই দেখুন

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঙালী মাত্রেই পান্তাভাত প্রেমী। পান্তাভাত খেয়ে দিবানিদ্রা দেয়নি এরকম বাঙালি হয়তো অনেক কষ্টে খুঁজে পাওয়া যাবে। চানাচুর, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ সহযোগে পান্তাভাত হল অমৃত। আসলে পান্তাভাত হল সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি। রাতের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য এই ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল দিয়ে প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়।

ভাত পুরোটাই শর্করা। ভাতে জল দিয়ে রাখলে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বা ইস্ট এই শর্করা ভেঙ্গে ইথানল ও ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরির ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (pH কমে) তখন পচনকারী ও অন্যান্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ভাত নষ্ট করতে পারে না।

১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে (১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর) ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পান্তাভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম; যেখানেসমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩ মিলিগ্রাম যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।

পান্তা ভাত ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। পান্তাভাত শর্করাসমৃদ্ধ জলীয় খাবার। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরের জলের অভাব মেটায় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাবার। মানবদেহের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে ওঠে।

পেটের রোগ ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। এ ভাতে পেটের পীড়া ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে। পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।