দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনকে আড়াল করা হবে এবং এতে সরকারের হস্তক্ষেপ আরো বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সম্প্রতি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন,‘বিগত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে দেখা গেছে, দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নের ভিত্তিতে না হলেও সেখানে এক ধরনের দলীয় মনোনয়ন থাকে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে যেভাবে প্রার্থী বাছাই হয়েছে, তাতে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি খুব প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরে সংশ্লিষ্টরা এবং বিষেশজ্ঞদের কেউ কেউ মত প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে হতে পারে।’
বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘সারা দেশে জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। শাসকদলীয় লোকদের তারা সেই কালো আইনের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদে বসিয়েছেন এবং গেজেট নোটিফিকেশন করে তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন,‘দেশে বিভাজিত সমাজ ব্যবস্থা এবং অপরাজনীতির চর্চার কারণে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। তা ছাড়া এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে দলীয় প্রতীকে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ‘আজ্ঞাবহ’ এই কমিশন ইতিমধ্যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার মতো শক্তি, সাহস, ন্যায়বোধ তাদের নেই।’ জনগণের ভোট পাহারা দেওয়ার মতো ক্ষমতা প্রশাসনের নেই ।
রিপন অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘যেখানে দলীয় প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনের এ হাল। তখন দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে যখন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন তারা বিএনপির প্রার্থীদের, বিএনপির মনোনীত এবং বিএনপি থেকে যাঁরা জিতবেন, তাঁদের সরকার বের করে দিতে পারবে। এ পথটি আরো বেশি পরিষ্কার হবে তাদের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।