বিএনপি নেতা আমীর খসরু কারাগারে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকরব হোসেন মৃধার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে দেওয়া জামিন শেষে এ আদালতে হাজির হয়ে  জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি এ্যাডভোকেট ফখরুদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিককে বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। রোববার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন তিনি। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি গত ৭ অক্টোবর নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। পরে ২১ অক্টোবর জামিন আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি হওয়া পর্যন্ত জামিন বর্ধিত করেছিলেন আদালত।

আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, জামিন শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা এই আদেশে ক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে পুনরায় জামিন আবেদন করে তাকে মুক্ত করে আনবো।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর নাশকতার উস্কানি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় মামলাটি করা হয়। ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও কথোপকথন ফাঁস হয়। এ অডিওতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর