ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় নদী ও বিলের অবৈধ সোঁতি বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনায় নদী ও বিলের উৎসমুখে অবৈধ সোঁতি বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রশাসন বেশ কয়েকবার সোঁতি বাঁধ স্থাপনে বাধা দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৎস্য নিধনযজ্ঞ চলছেই। সোঁতি বাঁধ দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। সোঁতি বাঁধের ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌ-চলাচল। অপরদিকে মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে সাধারণ জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, ডিবিগ্রাম এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদী, করতোয়া নদী, কাটা গাঙ, জিওল গাড়ির জোলা, ছাওয়াল দহসহ চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ সোঁতি বাঁধ। নদী ও বিলের উৎসমুখে বাঁশ, পলিথিন ও জাল দিয়ে ঘিরে নির্দিষ্ট একটি স্থান দিয়ে পানির স্রোত সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সোঁতি বাঁধ স্থাপনের ফলে পানি সহজে বের হতে পারছে না। সেই সঙ্গে সোঁতি জালে কাঁকড়া, শামুক থেকে শুরু করে কৃষিজমির জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ জালে উঠে আসছে। আর এতে করে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় মাছ নিধন করা হচ্ছে নির্বিচারে। অপরদিকে পানি নামতে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের চাষাবাদ এবং নৌ-যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি সোঁতি বাঁধে অভিযান চালিয়ে বাঁশ ও জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেললেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুনরায় বাঁশ পুঁতে সোঁতি জাল স্থাপন করে মাছ শিকার শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করেছি। বিলে সোঁতি বাঁধ দেয়া বন্ধে প্রতিনিয়িত অভিযান চালানো হবে।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। কোনো জায়গায় সোঁতি বাঁধ স্থাপন করতে দেয়া হবে না। সবগুলো সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাবনায় নদী ও বিলের অবৈধ সোঁতি বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনায় নদী ও বিলের উৎসমুখে অবৈধ সোঁতি বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রশাসন বেশ কয়েকবার সোঁতি বাঁধ স্থাপনে বাধা দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৎস্য নিধনযজ্ঞ চলছেই। সোঁতি বাঁধ দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। সোঁতি বাঁধের ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌ-চলাচল। অপরদিকে মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে সাধারণ জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, ডিবিগ্রাম এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদী, করতোয়া নদী, কাটা গাঙ, জিওল গাড়ির জোলা, ছাওয়াল দহসহ চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ সোঁতি বাঁধ। নদী ও বিলের উৎসমুখে বাঁশ, পলিথিন ও জাল দিয়ে ঘিরে নির্দিষ্ট একটি স্থান দিয়ে পানির স্রোত সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সোঁতি বাঁধ স্থাপনের ফলে পানি সহজে বের হতে পারছে না। সেই সঙ্গে সোঁতি জালে কাঁকড়া, শামুক থেকে শুরু করে কৃষিজমির জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ জালে উঠে আসছে। আর এতে করে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় মাছ নিধন করা হচ্ছে নির্বিচারে। অপরদিকে পানি নামতে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের চাষাবাদ এবং নৌ-যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি সোঁতি বাঁধে অভিযান চালিয়ে বাঁশ ও জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেললেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুনরায় বাঁশ পুঁতে সোঁতি জাল স্থাপন করে মাছ শিকার শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করেছি। বিলে সোঁতি বাঁধ দেয়া বন্ধে প্রতিনিয়িত অভিযান চালানো হবে।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। কোনো জায়গায় সোঁতি বাঁধ স্থাপন করতে দেয়া হবে না। সবগুলো সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।