হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুইজন। তারা হলেন ডেনিস মুকওয়েজি ও নাদিয়া মুরাদ। শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ফলশ্রুতিতে তারা এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইয়াজেদি নারী নাদিয়া মুরাদ নিজেও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামি স্টেট তার ওপর ধর্ষণসহ নানা নির্যাতন চালিয়েছিল। তিনি ২০১৪ সালের নভেম্বরে আইএসের হাত থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর থেকে ধর্ষণ ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে চলেছেন এই নারী।
অন্যদিকে কঙ্গোতে ডেনিস মুকওয়েজি ও তার সহকর্মীরা ধর্ষিতা নারীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। তিনি এ পর্যন্ত যৌন নির্যাতনের কারণে গুরুতর অসুস্থ প্রায় ৩০ হাজার নারীর চিকিৎসা করেছেন। এসব নারীদের অধিকাংশই যুদ্ধকালীন সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।
শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান বেরিত রেইস এন্ডারসন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওই দুই ব্যক্তি এই অপরাধের বিরুদ্ধে গুরুতর ভূমিকা রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার হিসেবে একটি করে সোনার মেডেল পাবেন মুকওয়েজি এবং নাদিয়া মুরাদ। সেই সঙ্গে পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তারা ভাগ করে নেবেন।
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ৩৩১ জন ব্যক্তি ও সংস্থার নাম বাছাই করেছিল কমিটি। এরমধ্যে ২১৬ জন ব্যক্তি ও ১১৫টি প্রতিষ্ঠান ছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সম্ভাব্য বিজয়ীদের তালিকায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেল, কংগোর ডাক্তার ডেনিস মুকওয়েজ, কারারুদ্ধ সৌদি ব্লগার রাফি বাদাউইয়েসহ অনেকের নামই ছিল। কিন্তু সবাইকে হটিয়ে এই পুরস্কার বগলদাবা করলেন মুকওয়েজি এবং নাদিয়া।
সূত্র: বিবিসি