আজ তার বড় আনন্দের দিন, কিন্তু আনন্দের মাঝে মনটা খুবই খারাপ। আনন্দের দিনে কি জন্য মনটা খারাপ তা খোলাসা না করে বললে ভক্তরা বুঝবেন না।
‘কোয়ান্টিকো’র সাফল্যে ঘরে-বাইরে প্রশংসা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিই আজ তার কাছে নেই। তিনি প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোক চোপড়া। ২০১৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ম়ারা যান অশোক। তাই বাবার সঙ্গে এই খুশি আর শেয়ার করা হলো না প্রিয়াঙ্কার। বাবাকে আজ বড্ড মিস করছেন নায়িকা। বাবার জন্য মনটা কাঁদছে তার। আর কোনো দিন যে বাবার সঙ্গে কোনো বিষয়েই শেয়ার করতে পারবেন তিনি।
মেয়ের সাফল্যে আর পাঁচজন বাবার মতোই খুব খুশি হতেন অশোক। একসঙ্গে সেলিব্রেট করতেন দু’জনে। আবার ব্যর্থতাতেও মেয়ের পাশে দাঁড়াতেন তিনি। আজ সে সব শুধুই স্মৃতি আর স্মৃতি।
তার কথায়, ‘আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার যেকোনও সাফল্যে এত খুশি হতেন, ওনার চোখে আমি গর্বের ঝিলিক দেখতাম। আমি জানতাম, যদি হেরে যাই বাবা এসে হাতটা ঠিকই ধরবেন।’
প্রিয়াঙ্কার হাতে অনেকদিন ধরেই ‘ড্যাডিস লিটিল গার্ল’ ট্যাটু রয়েছে। বাবাই ছিলেন তার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। বলিউড পেরিয়ে এখন তিনি আন্তর্জাতিক তারকা। কিন্তু তার এ সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না অশোক। তাই এত সাফল্যেও বাবাকে হারানোর যন্ত্রণায় কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালেন প্রিয়াঙ্কা।