হাওর বার্তা ডেস্কঃ যেকোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে টার্গেট করে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের প্রথমে প্রেমের অফার দিয়ে বাড়িতে ডাকত। এই ডাকে কেউ কেউ সাড়া দিয়ে ফেঁসে যায়। তাদের বাড়িতে ডেকে এনে ঘরের দরজা বন্ধ করে উভয়ে বিবস্ত্র হয়।
পরে এরা তাদের ছেলে সহযোগিদের ফোন করে। তারা এসে দরজা নক করে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় বিভিন্ন আংগিকে ছবি তোলে। ছবি ফেইসবুকে বা নানাভাবে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে।
নওগাঁর পার-নওগাঁ (দক্ষিণপাড়া) এলাকায় এমন অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চার নারী ও চার পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা সদর মডেল থানা পুলিশ। এই চক্র বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে এই অপকর্ম করে আসছিল। পুলিশ তাদের বহুদিন ধরে খুঁজছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকার মোছা. শান্তা খাতুন (৩০), মোছা. নিপা খাতুন (৩২) ও মোছা. সন্ধ্যা খাতুন (১৯), বগুড়ার আদমদিঘী থানার কেল্লা গ্রামের মোছা. রিয়া খাতুন, সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের হারুন মণ্ডল (৩৬), মো. আরিফ হোসেন (২৫), নুর ইসলাম নোবেল (২০) ও মো. আশিক (১৯)।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার শিউলী ম্যানসনের চতুর্থতলায় ভাড়া থাকাকালীন সময় মঙ্গলপুর গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামকে এমন ফাঁদে ফেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৮ লাখ টাকা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার দিন শহরের একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়ের কৌশল অবলম্বন করে। কৌশলে তিনি থানায় জানালে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।