ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্তশূন্যতা দূর করে পুঁই শাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৪৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুঁই শাক খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। গোটা বিশ্বে এর চাষ হয়। এর কাণ্ড, পাতা, বীজ- সবই খাওয়া যায়। তাছাড়া, পুঁই শাক নানা ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

পুঁইয়ের পাতায় খুব সামান্য পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তবে এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। পুঁই শাকে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন থাকে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় পুঁই পাতা বহু বছর ধরে ভাল ঘুমের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পাতা এক সময় গোসলের আধা ঘণ্টা আগে বেটে মাথায় লাগানো হতো ভাল ঘুমের জন্য। এছাড়া মাথা ঠাণ্ডা রাখা, ত্বকের সমস্যা, যৌন দুর্বলতা, আলসার এবং গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হয় পুঁই পাতা। লিউকেমিয়া, মুখগহ্বরের ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় প্রতিষেধক হিসেবে পুঁই শাক ব্যবহার হয়ে আসছে।

পুঁই শাকে রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন স্পিসিজ নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুঁই শাক রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

পুঁই শাক খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

নিয়মিত পুঁই শাক খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ থাকায় রক্তশূন্যতা দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে পুঁই শাক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্তশূন্যতা দূর করে পুঁই শাক

আপডেট টাইম : ০৫:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুঁই শাক খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। গোটা বিশ্বে এর চাষ হয়। এর কাণ্ড, পাতা, বীজ- সবই খাওয়া যায়। তাছাড়া, পুঁই শাক নানা ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

পুঁইয়ের পাতায় খুব সামান্য পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তবে এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। পুঁই শাকে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন থাকে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় পুঁই পাতা বহু বছর ধরে ভাল ঘুমের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পাতা এক সময় গোসলের আধা ঘণ্টা আগে বেটে মাথায় লাগানো হতো ভাল ঘুমের জন্য। এছাড়া মাথা ঠাণ্ডা রাখা, ত্বকের সমস্যা, যৌন দুর্বলতা, আলসার এবং গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হয় পুঁই পাতা। লিউকেমিয়া, মুখগহ্বরের ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় প্রতিষেধক হিসেবে পুঁই শাক ব্যবহার হয়ে আসছে।

পুঁই শাকে রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন স্পিসিজ নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুঁই শাক রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

পুঁই শাক খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

নিয়মিত পুঁই শাক খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী।

বিভিন্ন ধরনের খনিজ থাকায় রক্তশূন্যতা দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে পুঁই শাক।