ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আমার কি হবে? কিভাবে আমি দেখব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৮৫ বার

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়া আমান। পাশাপাশি বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। দারুণ সম্ভাবনাময়ী এ অভিনেত্রী হঠাৎ-ই এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টি হারাতে বসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুটি চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার। ফলে তিনি এখন চোখে কিছুই দেখতে পারছেন না।
প্রিয়া আমান আরো জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কারওয়ান বাজারস্থ ইউটিসি ভবনের এক শুটিং হাউজে ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেন। নাটকটির একটি চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি চোখে আলগা লেন্স ব্যবহার করেন। শুটিং শেষে চোখের লেন্স খুলে ফেলার পরপরই তিনি চোখে মারাত্নক ব্যথা অনুভব করেন। তিনি বলেন, লেন্স খোলার পর চোখে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। এর পর থেকে আমি চোখে কিছু দেখতে পারছি না।
সে সময় প্রিয়ার চিৎকারে রাস্তায় দাঁড়ানো পুলিশ এগিয়ে আসেন। সে সময় তার চোখে ব্যথার তিব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেখানেই জ্ঞান হারান। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে যান। সেখান থেকে তাকে একটি চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়। চোখের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেওয়া শেষে তাকে জানান, প্রিয়া আমানে দুটি চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ তথ্যগুলো জানানোর সময় প্রিয়া আমান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি আবার সবকিছু দেখতে চাই। চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আমার কি হবে? কিভাবে আমি দেখব? আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, প্রিয়া আমান যে লেন্সটি চোখে পরেছিলেন সেটি ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। এর ফলে লেন্সের রং চোখের ভিতরে ছড়িয়ে পরে কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কায়সার আহম্মেদের ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর ফার্মগেট থেকে নিজেই তার চোখের ব্যবহারের জন্য এ লেন্সটি কিনে সেটি চোখে পরেন।
প্রিয়া আমানের চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আগে থেকে শিডিউল দেওয়া কয়েকটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিতে পারেননি। এ জন্য কয়েকজন নাট্য পরিচালক প্রিয়াকে ভুল বুঝছেন বলেও জানান।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়া বলেন, খুব খারাপ লাগছে, যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি তারা আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি নাকি মিথ্যে কথা বলছি। আমার নাকি কিছুই হয়নি। ডেট দিয়ে অন্য নাটকের কাজ করছি।
এবারের ঈদে প্রিয়া আমান অভিনীত ছয়টি নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। এগুলো হলো মোহন খানের মেঘ পাখি একা, অঞ্জন আইচ পরিচালিত সাধারনের দু:স্বপ্ন, পৃথুরাজ পরিচালিত অনুরণন, শাহীন সরকার পরিচালিত ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, মিনহাজ অভি পরিচালিত চন্দ্র মল্লিকার বনে, অন্তু আজাদের আহ্বান।
বর্ষিয়ান অভিনেতা সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রিয়া আমান। অদৃশ্য শত্রু সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এ সিনেমায় তিনি জায়েদ খান ও নবাগত মাশরুর পারভেজের বিপরীতে অভিনয় করেন। এর পরে দ্বিতীয়বারের মতো বড় পর্দায় অভিনয় করছেন বিজয়িনী শিরোনামের সিনেমায়। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন শারমীন সুলতানা শর্মী। এতে অভিনেতা অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন তিনি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অনুদানের এ সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আমার কি হবে? কিভাবে আমি দেখব

আপডেট টাইম : ০৭:৪৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়া আমান। পাশাপাশি বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। দারুণ সম্ভাবনাময়ী এ অভিনেত্রী হঠাৎ-ই এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টি হারাতে বসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুটি চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার। ফলে তিনি এখন চোখে কিছুই দেখতে পারছেন না।
প্রিয়া আমান আরো জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কারওয়ান বাজারস্থ ইউটিসি ভবনের এক শুটিং হাউজে ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেন। নাটকটির একটি চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি চোখে আলগা লেন্স ব্যবহার করেন। শুটিং শেষে চোখের লেন্স খুলে ফেলার পরপরই তিনি চোখে মারাত্নক ব্যথা অনুভব করেন। তিনি বলেন, লেন্স খোলার পর চোখে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। এর পর থেকে আমি চোখে কিছু দেখতে পারছি না।
সে সময় প্রিয়ার চিৎকারে রাস্তায় দাঁড়ানো পুলিশ এগিয়ে আসেন। সে সময় তার চোখে ব্যথার তিব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেখানেই জ্ঞান হারান। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে যান। সেখান থেকে তাকে একটি চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়। চোখের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেওয়া শেষে তাকে জানান, প্রিয়া আমানে দুটি চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ তথ্যগুলো জানানোর সময় প্রিয়া আমান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি আবার সবকিছু দেখতে চাই। চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আমার কি হবে? কিভাবে আমি দেখব? আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, প্রিয়া আমান যে লেন্সটি চোখে পরেছিলেন সেটি ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। এর ফলে লেন্সের রং চোখের ভিতরে ছড়িয়ে পরে কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কায়সার আহম্মেদের ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর ফার্মগেট থেকে নিজেই তার চোখের ব্যবহারের জন্য এ লেন্সটি কিনে সেটি চোখে পরেন।
প্রিয়া আমানের চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আগে থেকে শিডিউল দেওয়া কয়েকটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিতে পারেননি। এ জন্য কয়েকজন নাট্য পরিচালক প্রিয়াকে ভুল বুঝছেন বলেও জানান।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়া বলেন, খুব খারাপ লাগছে, যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি তারা আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি নাকি মিথ্যে কথা বলছি। আমার নাকি কিছুই হয়নি। ডেট দিয়ে অন্য নাটকের কাজ করছি।
এবারের ঈদে প্রিয়া আমান অভিনীত ছয়টি নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। এগুলো হলো মোহন খানের মেঘ পাখি একা, অঞ্জন আইচ পরিচালিত সাধারনের দু:স্বপ্ন, পৃথুরাজ পরিচালিত অনুরণন, শাহীন সরকার পরিচালিত ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, মিনহাজ অভি পরিচালিত চন্দ্র মল্লিকার বনে, অন্তু আজাদের আহ্বান।
বর্ষিয়ান অভিনেতা সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রিয়া আমান। অদৃশ্য শত্রু সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এ সিনেমায় তিনি জায়েদ খান ও নবাগত মাশরুর পারভেজের বিপরীতে অভিনয় করেন। এর পরে দ্বিতীয়বারের মতো বড় পর্দায় অভিনয় করছেন বিজয়িনী শিরোনামের সিনেমায়। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন শারমীন সুলতানা শর্মী। এতে অভিনেতা অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন তিনি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অনুদানের এ সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।