ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোবট কুকুরছানা ‘এইবো’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮
  • ৪০৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ছেড়েছে একটি ছোট্ট রোবট কুকুরছানা, যার নাম ‘এইবো’। তবে আকারে যত ছোটই হোক না কেন, দামটা কিন্তু সবার নাগালের মধ্যে নেই!

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই কুকুরছানা কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ৮৯৯ মার্কিন ডলার। তবে প্রথমে দামটা বাড়াবাড়ি রকমের বেশি মনে হলেও যখন রোবটটি আপনাকে সঙ্গ দিতে শুরু করবে, তখন মনে হতে পারে, টাকাটা একবারে জলে যায়নি।

‘এইবো’ উন্মুক্ত করার অনুষ্ঠানে সনির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর সেন্সরের মতো বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছেন এই রোবট তৈরিতে। যেখানে এই রোবটের চোখে বসানো হয়েছে ওএলইডি, যাতে দেখে মনে হয় জীবন্ত কুকুরছানাই চোখ পিটপিট করছে। মোবাইলে ‘এইবো অ্যাপ’ ব্যবহার করে এর চোখের রং পরিবর্তন করা যাবে, তার নাকের ডগায় বসানো ক্যামেরা দিয়ে সে কোন ছবি তুলল, তা দেখা যাবে। আবার তার শরীরে বসানো সেন্সরগুলো দিয়ে সে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে কী তথ্য নিচ্ছে, সেগুলোও দেখে নেওয়া যাবে।

এভাবে সেন্সরগুলো থেকে তথ্যের সমন্বয় করেই ‘এইবো’ ঠিক করে তার পথের বাধাগুলো কীভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। ক্যামেরা দিয়ে সে চিনবে পরিচিত জনকে, আর আশপাশের মানুষকে। এভাবেই ‘এইবো’ দিনকে দিন শিখবে, আর হয়ে উঠবে আরো বেশি স্মার্ট। তাকে হ্যান্ডশেক বা হাই-ফাইভের মতো কাজগুলোও শেখানো যাবে। তবে জীবন্ত কুকুরছানার মতোই তাকে কয়েকবার বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া লাগতে পারে।

তবে শুধু যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করেই এইবোকে তৈরি করা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। এর বাহ্যিক অবকাঠামোতেও রয়েছে বেশ চমক। সাধারণত আমরা রোবটের চলাচল বলতে যে ধরনের সীমিত পরিসর বুঝে থাকি, ‘এইবো’র ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ চমকপ্রদ। অনেকগুলো সিঙ্গেল ও ডুয়েল এক্সিস জয়েন্টের কারণে ‘এইবো’ খুব স্বচ্ছন্দেই টেবিলে গড়াগড়ি খেতে পারে, সোজা হয়ে বসতে পারে, আবার প্রভুর সামনে সে জীবন্ত কুকুরের মতো লেজও নাড়তে পারে।

তবে গড়াগড়ি আর চলাচলে যতই পারদর্শী হোক না কেন, ‘এইবো’কে ঘরের বাইরে বা ঘাসের মধ্যে নিতে বারণ করছে সনি। আর পানিতে তো নেওয়া যাবেই না। পরিষ্কার মেঝেই ‘এইবো’র জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা। ‘এইবো’র চার্জ অবশ্য খুব বেশি থাকে না। দু’ঘণ্টায় পুরো চার্জ করার পর দু’ঘণ্টাই সময় কাটানো যাবে ওর সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, চার্জ নেওয়ার সময় হলে ‘এইবো’ নিজেই চলে যাবে চার্জিং ডকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রোবট কুকুরছানা ‘এইবো’

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ছেড়েছে একটি ছোট্ট রোবট কুকুরছানা, যার নাম ‘এইবো’। তবে আকারে যত ছোটই হোক না কেন, দামটা কিন্তু সবার নাগালের মধ্যে নেই!

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই কুকুরছানা কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ৮৯৯ মার্কিন ডলার। তবে প্রথমে দামটা বাড়াবাড়ি রকমের বেশি মনে হলেও যখন রোবটটি আপনাকে সঙ্গ দিতে শুরু করবে, তখন মনে হতে পারে, টাকাটা একবারে জলে যায়নি।

‘এইবো’ উন্মুক্ত করার অনুষ্ঠানে সনির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর সেন্সরের মতো বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছেন এই রোবট তৈরিতে। যেখানে এই রোবটের চোখে বসানো হয়েছে ওএলইডি, যাতে দেখে মনে হয় জীবন্ত কুকুরছানাই চোখ পিটপিট করছে। মোবাইলে ‘এইবো অ্যাপ’ ব্যবহার করে এর চোখের রং পরিবর্তন করা যাবে, তার নাকের ডগায় বসানো ক্যামেরা দিয়ে সে কোন ছবি তুলল, তা দেখা যাবে। আবার তার শরীরে বসানো সেন্সরগুলো দিয়ে সে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে কী তথ্য নিচ্ছে, সেগুলোও দেখে নেওয়া যাবে।

এভাবে সেন্সরগুলো থেকে তথ্যের সমন্বয় করেই ‘এইবো’ ঠিক করে তার পথের বাধাগুলো কীভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। ক্যামেরা দিয়ে সে চিনবে পরিচিত জনকে, আর আশপাশের মানুষকে। এভাবেই ‘এইবো’ দিনকে দিন শিখবে, আর হয়ে উঠবে আরো বেশি স্মার্ট। তাকে হ্যান্ডশেক বা হাই-ফাইভের মতো কাজগুলোও শেখানো যাবে। তবে জীবন্ত কুকুরছানার মতোই তাকে কয়েকবার বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া লাগতে পারে।

তবে শুধু যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করেই এইবোকে তৈরি করা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। এর বাহ্যিক অবকাঠামোতেও রয়েছে বেশ চমক। সাধারণত আমরা রোবটের চলাচল বলতে যে ধরনের সীমিত পরিসর বুঝে থাকি, ‘এইবো’র ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ চমকপ্রদ। অনেকগুলো সিঙ্গেল ও ডুয়েল এক্সিস জয়েন্টের কারণে ‘এইবো’ খুব স্বচ্ছন্দেই টেবিলে গড়াগড়ি খেতে পারে, সোজা হয়ে বসতে পারে, আবার প্রভুর সামনে সে জীবন্ত কুকুরের মতো লেজও নাড়তে পারে।

তবে গড়াগড়ি আর চলাচলে যতই পারদর্শী হোক না কেন, ‘এইবো’কে ঘরের বাইরে বা ঘাসের মধ্যে নিতে বারণ করছে সনি। আর পানিতে তো নেওয়া যাবেই না। পরিষ্কার মেঝেই ‘এইবো’র জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা। ‘এইবো’র চার্জ অবশ্য খুব বেশি থাকে না। দু’ঘণ্টায় পুরো চার্জ করার পর দু’ঘণ্টাই সময় কাটানো যাবে ওর সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, চার্জ নেওয়ার সময় হলে ‘এইবো’ নিজেই চলে যাবে চার্জিং ডকে।