ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি তো ভালা না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ০ বার

অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমঃ
কেন আমি ভালা না।তা বুঝতেই পারলাম না। চারদিকে বহু সমালোচক।বাঁকা ঠোঁটে বলে নানান কথা।পারতো যদি সমুদ্রে ডুবিয়ে মারতো।না এতো সাহস তাদের বুকে নেই জমা। মাঝে মাঝে বলি — আয় না করি খেলা। পাঞ্জা লড়ে দেখি কার বাহুতে কত শক্তি আছে জমা।পারবে না সফল হতে। আজকাল কর্মে, ধর্মে,বুদ্ধি মেধায় মেয়েরা এগিয়েছে বহু দুর।আমিও কোন অংশেই থেমে নেই। ঝড় তুফানকে আমি এখন ন ডরাই।
মনে পড়ে — “মাথার ঘোমটা ছিঁড়ে ফেলো নারী ” এই শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলাম।কিছু লোক ছুটে এসেছিলো আমার বিরুদ্ধে মিছিল করার হুমকি দেখিয়ে। এটা তো আমার কথা নয়। কাজী নজরুল ইসলামের মন্তব্য।তাঁর বিরুদ্ধে মিছিল করো।সে সাহস তো তোমার নেই।

আমার দোষগুলো উদ্ধার করতে পারলে হয়তো বা সোনা রুপার পানি দিয়ে ধুয়ে নিজেকে বিশুদ্ধ করে নিতাম।তা আর পারলাম কই। হতাশায জ্বলে পুড়ে আবার কোমড় সোজা করে দাঁড়াই। যে যা বলে বলুক সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁটতে থাকি।
দীক্ষা নিতে ছুটে যাই নারী জাগরনের অগ্রদুত বেগম রোকেয়া, আদি কবি চন্দ্রাবতি, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ইলামিত্র,জাহানারা ইসলাম, সুফিয়া কামাল সহ বহু স্বরণীয় বরণীয় পথ প্রদর্শকদের কাছে। সমাজ বির্ণিমানে, মানব সভ্যতার বিকাশে ,প্রকৃতির শোভা বর্ধনে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল আত্মস্থ করতে চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই,নিজেকে প্রশ্ন করি- তাঁরা কি ভাবে,কেমন করে সৃস্টির কল্যাণে এতো কিছু উপহার দিয়ে গেলেন। আমরা তো তাদের কাছে চির ঋনী। আমাদের জীবন মান উন্নত করতে হলে তাদের অনুসরন করার বিকল্প নেই।

ইতিহাসের পাতা উল্টাতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। তাঁদের নিয়েও রয়েছে মুখরোচক,ব্যাঙ্গাত্বক নানাবিধ সমালোচনা। যা শুনলে অসহ্য, অসহনীয় মনে হয়।দুনিয়াতে কিছু মানুষ আছে।তারা নিজে কিছু করতে পারে না।করার চেষ্টাও করে না।অন্যের সফলতা দেখে জ্বলে পোড়ে মরে। সফল ব্যক্তিটির নানা দোষ খোঁজে বেড়ায়। বাঁকা চোখে জন্ম দেয় বহুরুপী বিতর্কের।
এই সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের কারণে সমালোচিত নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসিরন কে বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। নারী জাগরনের অগ্রদূত বলে খ্যাত বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যের মুখে ২০২৪ এ ৫ আগস্টের পর কালি লেপন করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা।কি তাদের উদ্দেশ্য বা অভিযোগ জানি না।অথচ এই বেগম রোকেয়ার জন্ম না হলে ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েরা আজো রয়ে যেতে অন্ধকার কুটুরীতে বন্দি।সুর্য্যের আলো বাতাস দেখার সুযোগ পেতো না।

আমি তো তেলাপোকা তুল্য প্রণী।হাতে তুলে কলম নারীর পক্ষে কথা বলে কি দোষ করেছি জানি না। আমাকে নিয়ে তুলছে কান কথার সমালোচনা।চলুক,ডর ভয়ের কিছু নেই। বিশ্ব বিখ্যাত কবি রবীদ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রয়েছে কুতর্ক।১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হউক তা তিনি চাইতেন না।আরো কতো কথার সমালোচনা।ইদানিং তর্ক ওঠেছে তাঁর লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” বাদ দিতে হবে। তাতে নাকি হিন্দুয়ানী গন্ধ রয়েছে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অস্প্রদায়িকতার তকমা লাগিয়ে করা হয়েছে বিতর্কিত।দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে তাকে করা হয়েছিলো কারা বন্দি। অথচ বৃট্রিশ বিরুধী আন্দোলনে তার ছিলো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা।

সভ্যতার ভাঁজে ভাঁজে বহু বিশ্ব খ্যাত মহামানবকে দেখেছি বর্বরোচিত ভাবে নির্যাতিত,অত্যাচারিত হতে।এমন কি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুড়িয়ে মারতে। জীবন্ত কবর দিতে। তারপরও হাতে তুলে কলম, মাবতার যুদ্ধাস্র, বিবেকের বই কিতাব, সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধে ফুটিয়েছে ফুল।রাজ্য শাসন, নভেল জয়, মহাশূণ্যে গমন, হিমালয় জয়ে রয়েছে নারীর গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা। নারীরা আরো এগিয়ে যাবেই,আমি তাদের পায়ে তাল রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।

আমি নামক আমিটার, তৃনমূল পাড়া গাঁয়ের মেয়েটির কথা বার্তা অনেকেরই সহ্য হয় না। তাই আমাকে তুচ্ছ্য অজুহাতে বহুবার বহুজন দা, বটি,বল্লম নিয়ে ছুটে এসেছে রক্ত বন্যায় তলিয়ে দিতে। হাত পা সেই ক্ষণে অবশ হয়ে আসছিলো,গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিলো। পিঠ,ঘাড়, পায়ের তলা শির শির করছিলো। রাখে আল্লায় মারে কে। সেই আমি এখনও বেঁচে আছি, ৬৪ তে বসে লিখছি সে সব সত্য কথা, কলমের নখে তুলে।

এতো ঘাত প্রতিঘাত কি সহ্য করা যায়। নারী হয়ে জন্ম নেয়াই আমার বড় অপরাধ হয়েছে। তারপর আবার বিদ্যার জাহাজ মাথায় নিয়ে ঘুরি।ভালোমন্দ বুঝার ক্ষমতা রয়েছে দেহের অনুকোষে। যেখানেই দেখি অনাচার, হাত তুলে করি প্রতিবাদ। সত্যের পক্ষে রাখি নিজের পাকা পোক্ত অবস্থান। উচু নীচু পথে হেঁটে পয়ের নীচের মাটি করেছি শক্ত। যুক্তি তর্কে হয়েছি মুখরা। এখন কবিতায় বলি —

কেন মুখরা হলাম

কেউ জানতে চাইলো না
কেন মুখরা হলাম
নরম তুল তুলে সেই আমি
রুক্ষ হয়ে গেলাম।

ছিলাম তো নমনীয় সহনীয়
সব মেনে নিতাম
আগুনের দহন জ্বালা নীরবে
সহ্য করে যেতাম।

আঙুল তুলে বলতো কেউ
সাবধান চুপ থাকো
করবে না কোন প্রতিবাদ
নরম সুরে ডাকো।

নরম গরমে ভালোই যাচ্ছিলো
যেদিন উল্টে দিলো থালা
চোখ নামাতে বললো মাটিতে
গায়ে ধরে গেলো জ্বালা।

হাতে তুলে ঢাল তলোয়ার
গর্জে ওঠে হুংকার
সৃস্টির সেরা জীব হিসেবে
চাইলাম প্রতিকার।

জিক জাক পথে হাঁটি
পায়ের ধূলো উড়াই
ঘাড়ে রেখে হাত গরম চোখে
বলি – ন ডরাই।

পাঞ্জা লড়বে গুলি করবে
পারবে না হারাতে
বহু শক্তি করেছি সঞ্চয়
নরম অবলা হাতে।

স্বর্গ চ্যুত্তির জন্য দায়ি করো
আমাকে কেন তোমরা
সেই থেকে ঠোঁট কাটা ঠোঁটে
হলাম জেদি মুখরা।

পরিশেষে বলছি — একটা গানের পঙক্তি উল্লেখ্য করে ” আমি তো ভালো না, ভালো নিয়ে থাইকো”।

লেখকঃ কবি,গবেষক,সংগঠক

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমি তো ভালা না

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমঃ
কেন আমি ভালা না।তা বুঝতেই পারলাম না। চারদিকে বহু সমালোচক।বাঁকা ঠোঁটে বলে নানান কথা।পারতো যদি সমুদ্রে ডুবিয়ে মারতো।না এতো সাহস তাদের বুকে নেই জমা। মাঝে মাঝে বলি — আয় না করি খেলা। পাঞ্জা লড়ে দেখি কার বাহুতে কত শক্তি আছে জমা।পারবে না সফল হতে। আজকাল কর্মে, ধর্মে,বুদ্ধি মেধায় মেয়েরা এগিয়েছে বহু দুর।আমিও কোন অংশেই থেমে নেই। ঝড় তুফানকে আমি এখন ন ডরাই।
মনে পড়ে — “মাথার ঘোমটা ছিঁড়ে ফেলো নারী ” এই শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলাম।কিছু লোক ছুটে এসেছিলো আমার বিরুদ্ধে মিছিল করার হুমকি দেখিয়ে। এটা তো আমার কথা নয়। কাজী নজরুল ইসলামের মন্তব্য।তাঁর বিরুদ্ধে মিছিল করো।সে সাহস তো তোমার নেই।

আমার দোষগুলো উদ্ধার করতে পারলে হয়তো বা সোনা রুপার পানি দিয়ে ধুয়ে নিজেকে বিশুদ্ধ করে নিতাম।তা আর পারলাম কই। হতাশায জ্বলে পুড়ে আবার কোমড় সোজা করে দাঁড়াই। যে যা বলে বলুক সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁটতে থাকি।
দীক্ষা নিতে ছুটে যাই নারী জাগরনের অগ্রদুত বেগম রোকেয়া, আদি কবি চন্দ্রাবতি, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ইলামিত্র,জাহানারা ইসলাম, সুফিয়া কামাল সহ বহু স্বরণীয় বরণীয় পথ প্রদর্শকদের কাছে। সমাজ বির্ণিমানে, মানব সভ্যতার বিকাশে ,প্রকৃতির শোভা বর্ধনে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল আত্মস্থ করতে চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই,নিজেকে প্রশ্ন করি- তাঁরা কি ভাবে,কেমন করে সৃস্টির কল্যাণে এতো কিছু উপহার দিয়ে গেলেন। আমরা তো তাদের কাছে চির ঋনী। আমাদের জীবন মান উন্নত করতে হলে তাদের অনুসরন করার বিকল্প নেই।

ইতিহাসের পাতা উল্টাতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। তাঁদের নিয়েও রয়েছে মুখরোচক,ব্যাঙ্গাত্বক নানাবিধ সমালোচনা। যা শুনলে অসহ্য, অসহনীয় মনে হয়।দুনিয়াতে কিছু মানুষ আছে।তারা নিজে কিছু করতে পারে না।করার চেষ্টাও করে না।অন্যের সফলতা দেখে জ্বলে পোড়ে মরে। সফল ব্যক্তিটির নানা দোষ খোঁজে বেড়ায়। বাঁকা চোখে জন্ম দেয় বহুরুপী বিতর্কের।
এই সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের কারণে সমালোচিত নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসিরন কে বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। নারী জাগরনের অগ্রদূত বলে খ্যাত বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যের মুখে ২০২৪ এ ৫ আগস্টের পর কালি লেপন করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা।কি তাদের উদ্দেশ্য বা অভিযোগ জানি না।অথচ এই বেগম রোকেয়ার জন্ম না হলে ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েরা আজো রয়ে যেতে অন্ধকার কুটুরীতে বন্দি।সুর্য্যের আলো বাতাস দেখার সুযোগ পেতো না।

আমি তো তেলাপোকা তুল্য প্রণী।হাতে তুলে কলম নারীর পক্ষে কথা বলে কি দোষ করেছি জানি না। আমাকে নিয়ে তুলছে কান কথার সমালোচনা।চলুক,ডর ভয়ের কিছু নেই। বিশ্ব বিখ্যাত কবি রবীদ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রয়েছে কুতর্ক।১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হউক তা তিনি চাইতেন না।আরো কতো কথার সমালোচনা।ইদানিং তর্ক ওঠেছে তাঁর লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” বাদ দিতে হবে। তাতে নাকি হিন্দুয়ানী গন্ধ রয়েছে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অস্প্রদায়িকতার তকমা লাগিয়ে করা হয়েছে বিতর্কিত।দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে তাকে করা হয়েছিলো কারা বন্দি। অথচ বৃট্রিশ বিরুধী আন্দোলনে তার ছিলো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা।

সভ্যতার ভাঁজে ভাঁজে বহু বিশ্ব খ্যাত মহামানবকে দেখেছি বর্বরোচিত ভাবে নির্যাতিত,অত্যাচারিত হতে।এমন কি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুড়িয়ে মারতে। জীবন্ত কবর দিতে। তারপরও হাতে তুলে কলম, মাবতার যুদ্ধাস্র, বিবেকের বই কিতাব, সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধে ফুটিয়েছে ফুল।রাজ্য শাসন, নভেল জয়, মহাশূণ্যে গমন, হিমালয় জয়ে রয়েছে নারীর গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা। নারীরা আরো এগিয়ে যাবেই,আমি তাদের পায়ে তাল রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।

আমি নামক আমিটার, তৃনমূল পাড়া গাঁয়ের মেয়েটির কথা বার্তা অনেকেরই সহ্য হয় না। তাই আমাকে তুচ্ছ্য অজুহাতে বহুবার বহুজন দা, বটি,বল্লম নিয়ে ছুটে এসেছে রক্ত বন্যায় তলিয়ে দিতে। হাত পা সেই ক্ষণে অবশ হয়ে আসছিলো,গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিলো। পিঠ,ঘাড়, পায়ের তলা শির শির করছিলো। রাখে আল্লায় মারে কে। সেই আমি এখনও বেঁচে আছি, ৬৪ তে বসে লিখছি সে সব সত্য কথা, কলমের নখে তুলে।

এতো ঘাত প্রতিঘাত কি সহ্য করা যায়। নারী হয়ে জন্ম নেয়াই আমার বড় অপরাধ হয়েছে। তারপর আবার বিদ্যার জাহাজ মাথায় নিয়ে ঘুরি।ভালোমন্দ বুঝার ক্ষমতা রয়েছে দেহের অনুকোষে। যেখানেই দেখি অনাচার, হাত তুলে করি প্রতিবাদ। সত্যের পক্ষে রাখি নিজের পাকা পোক্ত অবস্থান। উচু নীচু পথে হেঁটে পয়ের নীচের মাটি করেছি শক্ত। যুক্তি তর্কে হয়েছি মুখরা। এখন কবিতায় বলি —

কেন মুখরা হলাম

কেউ জানতে চাইলো না
কেন মুখরা হলাম
নরম তুল তুলে সেই আমি
রুক্ষ হয়ে গেলাম।

ছিলাম তো নমনীয় সহনীয়
সব মেনে নিতাম
আগুনের দহন জ্বালা নীরবে
সহ্য করে যেতাম।

আঙুল তুলে বলতো কেউ
সাবধান চুপ থাকো
করবে না কোন প্রতিবাদ
নরম সুরে ডাকো।

নরম গরমে ভালোই যাচ্ছিলো
যেদিন উল্টে দিলো থালা
চোখ নামাতে বললো মাটিতে
গায়ে ধরে গেলো জ্বালা।

হাতে তুলে ঢাল তলোয়ার
গর্জে ওঠে হুংকার
সৃস্টির সেরা জীব হিসেবে
চাইলাম প্রতিকার।

জিক জাক পথে হাঁটি
পায়ের ধূলো উড়াই
ঘাড়ে রেখে হাত গরম চোখে
বলি – ন ডরাই।

পাঞ্জা লড়বে গুলি করবে
পারবে না হারাতে
বহু শক্তি করেছি সঞ্চয়
নরম অবলা হাতে।

স্বর্গ চ্যুত্তির জন্য দায়ি করো
আমাকে কেন তোমরা
সেই থেকে ঠোঁট কাটা ঠোঁটে
হলাম জেদি মুখরা।

পরিশেষে বলছি — একটা গানের পঙক্তি উল্লেখ্য করে ” আমি তো ভালো না, ভালো নিয়ে থাইকো”।

লেখকঃ কবি,গবেষক,সংগঠক