হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ৫টি থানা নির্বাচন অফিস আলাদা করে সুবিধাজনক স্থানে নেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, লালবাগ, সবুজবাগ ও উত্তরা থানা আলাদা আলাদা নির্বাচন অফিস পাচ্ছে।
এতোদিন এইসব থানা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম রাজধানীর ৬৭, পশ্চিম আগারগাঁওয়ে চলছিলো। বর্তমানে এই ৫টি থানার এলাকাবাসী আগারগাঁওয়ে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ করে।
সোমবার ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সাল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর পাঁচটি থানা নির্বাচন অফিসের ঠিকানা স্থানান্তর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে নতুন ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সূত্রাপুর, কোতোয়ালি ও লালবাগ থানা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম দিগন্ত টাওয়ার (৭ম তলা)১২/১, আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০, (ব্রাদার্স ক্লাবের বিপরীতে), সবুজবাগ থানা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম হাজী আনোয়ার কমপ্লেক্স, ৬৯৮/ক/সি (৩য় তলা) খিলগাঁও, ঢাকা এবং উত্তরা থানা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্স (৬ষ্ঠ তলা), আজমপুর কাঁচা বাজার, দক্ষিণখানে চলবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব থানা নির্বাচন অফিসে আসতে নাগরিকদের বেশ কষ্ট করতে হয়। এজন্য এগুলো সুবিধাজনক জায়গায় স্থানান্তর করা হল।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে ইসির জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে লক্ষ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে ইসি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আইন পাস, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে সংসদ নির্বাচনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ইসির ইভিএম ব্যবহার করার মতো সক্ষমতা থাকবে।’
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘তবে ইভিএম ব্যবহার করার আগে ভিত্তিস্বরূপ আইন দরকার। ৩০ আগস্ট কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সেটা ভেটিংয়ের (যাচাই-বাছাই) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে।’
ইভিএম সংক্রান্ত আইন প্রসঙ্গে কমিশন সচিব বলেন , ‘আগে আইনটি পাস হতে হবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে কমিশন। আলোচনা শেষে ইভিএম থাকবে কি থাকবে না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে জাতীয় নির্বাচনের পরেই সারা দেশে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানান হেলালুদ্দীন।
সচিব বলেন, ‘আসছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সে অনুযায়ী নির্বাচনী প্রস্তুতিও কমিশন গ্রহণ করছে।
কমিশন সচিব বলেন, ‘নির্বাচন ডিসেম্বরেই হবে। কারণ, জানুয়ারিতে স্কুল-কলেজ খোলা থাকে। নতুন বছর। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ক্ষতি হতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য সে সময়টিই ভালো। ফলে জানুয়ারিতে নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে কমিশন ৮০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন করেছে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমদ।