ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের জন্য নয় : মোস্তাফা জব্বার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সামাজিক ব্যবহারের জন্য। এটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের কথা নয়। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এর সমাধান হচ্ছে ব্যবহারকারীদের সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তিগত সমাধানের জন্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালন।

বেসরকারি টেলিভিশন জি-টিভির টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, যখন দেখছিলাম যে অনলাইন নীতিমালা হতে দেরি হচ্ছে, আইন হতে দেরি হচ্ছে তখন মন্ত্রীকে বলেছিলাম আর কিছু না হোক অন্তত নিবন্ধন করা হোক। নিবন্ধন থাকলে তার পরিচয় জানতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে ২ হাজারের মতো আবেদন জমা হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা শুরু হয়নি। আমি যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো যে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও তখন তার হাতে একটি আইন ও আইনগত কাঠামো তুলে দিতে হবে। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে যুক্ত করিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যবহারের জন্য। এটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের কথা নয়।

এটি গুজব ছড়ানোর প্লাটফম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এবার আমরা লক্ষ্য করেছি সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। তিনি বলেন, এর সমাধান হচ্ছে, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সচেতনতা হচ্ছে প্রধান বিষয়। ২০০৯-১০ সালে যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের থেকে প্রতিদিন ১০টির মতো ফোন পেয়েছি। তারা সবাই ছিলো মেয়ে। তাদের প্রধান সমস্যা হলো আইডি হ্যাক হয়েছে, তাদের ছবি দিয়ে অন্য আইডি খোলা হয়েছে। ২০১৮ সালে দেখা গেছে ঐ ধরনের হ্যাকিং এখন আর কাজ করে না। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এর অপব্যবহারটা কমে যাবে। আরেকটি দিক হচ্ছে প্রযুক্তিগত সমাধান। প্রযুক্তিগত সমাধানের জন্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালনের কথা রয়েছে। ফেসবুক একটি আমেরিকান কোম্পানি। এটি আমাদের দেশের মানদণ্ড মেনে চলে না। কয়েক মাস আগে আমাদের প্রতিমন্ত্রীগণ ফেসবুকের সাথে বসতে বহুবার চেষ্টা করেছেন। বসে কিছু কাজও হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি যে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা এগুলোর বিপক্ষে যদি কিছু করা হয় তাহলে ঐ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেসবুক যদি এই এগ্রিমেন্টে আসে যে তোমার দেশের আইন মানবো। তাহলে ফেসবুককে আমি ধরতে পারবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের জন্য নয় : মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সামাজিক ব্যবহারের জন্য। এটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের কথা নয়। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এর সমাধান হচ্ছে ব্যবহারকারীদের সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তিগত সমাধানের জন্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালন।

বেসরকারি টেলিভিশন জি-টিভির টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, যখন দেখছিলাম যে অনলাইন নীতিমালা হতে দেরি হচ্ছে, আইন হতে দেরি হচ্ছে তখন মন্ত্রীকে বলেছিলাম আর কিছু না হোক অন্তত নিবন্ধন করা হোক। নিবন্ধন থাকলে তার পরিচয় জানতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে ২ হাজারের মতো আবেদন জমা হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা শুরু হয়নি। আমি যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো যে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও তখন তার হাতে একটি আইন ও আইনগত কাঠামো তুলে দিতে হবে। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে যুক্ত করিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যবহারের জন্য। এটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের কথা নয়।

এটি গুজব ছড়ানোর প্লাটফম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এবার আমরা লক্ষ্য করেছি সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। তিনি বলেন, এর সমাধান হচ্ছে, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সচেতনতা হচ্ছে প্রধান বিষয়। ২০০৯-১০ সালে যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের থেকে প্রতিদিন ১০টির মতো ফোন পেয়েছি। তারা সবাই ছিলো মেয়ে। তাদের প্রধান সমস্যা হলো আইডি হ্যাক হয়েছে, তাদের ছবি দিয়ে অন্য আইডি খোলা হয়েছে। ২০১৮ সালে দেখা গেছে ঐ ধরনের হ্যাকিং এখন আর কাজ করে না। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এর অপব্যবহারটা কমে যাবে। আরেকটি দিক হচ্ছে প্রযুক্তিগত সমাধান। প্রযুক্তিগত সমাধানের জন্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালনের কথা রয়েছে। ফেসবুক একটি আমেরিকান কোম্পানি। এটি আমাদের দেশের মানদণ্ড মেনে চলে না। কয়েক মাস আগে আমাদের প্রতিমন্ত্রীগণ ফেসবুকের সাথে বসতে বহুবার চেষ্টা করেছেন। বসে কিছু কাজও হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি যে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা এগুলোর বিপক্ষে যদি কিছু করা হয় তাহলে ঐ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেসবুক যদি এই এগ্রিমেন্টে আসে যে তোমার দেশের আইন মানবো। তাহলে ফেসবুককে আমি ধরতে পারবো।