২০ লাখ টাকা কোনো টাকা না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজের সন্তানের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমার ছেলে গাড়িতে করে স্কুলে যায়। যদি সে বাসে করে স্কুলে যেত তাহলে আমি সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতাম যে সে ফিরে আসবে কি না? আর এমন কোনো খবর পেলে আমি আত্মহত্যা করতাম। আমি মৃত ছেলের মুখ দেখতে চাই না।

বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় নিহত মীমের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এরশাদ মীমের বাসায় গেলে তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রাজধানীর মহাখালীতে বাস চাপায় নিহত কলেজ ছাত্রী দিয়া খানম মীমের বাসায় শুক্রবার (৩ আগস্ট) সকালে যান তিনি।

মীমের মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, মা, তোমার সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, আমরা শোকাহত। এই শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা দুঃখিত বলতে এসেছি। পরে মীমের পরিবারের খোঁজখবর নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এরশাদের কাছে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম তার আরেক মেয়ে রুকাইয়া খানমের জন্য একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পল্লীবন্ধু এরশাদ তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জাহাঙ্গীর আলম গাড়ি চালিয়ে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালান। মহাখালীর একটি বাসায় মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন তিনি। পরিবারটিকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের এরশাদ বলেন, তোমরা দেখ- দারিদ্র্য কাকে বলে। সরকার চাইলে আরো বেশি টাকা দিতে পারত। ২০ লাখ টাকা কোনো টাকা না। প্রধানমন্ত্রী এসে দেখে যেতে পারতেন এরা কতটা কষ্টে একটা ঘরে কতগুলো মানুষ বসবাস করে।

এরশাদ বলেন, রাস্তায় যারা আন্দোলন করছে এরা সবাই নিরাপদ সড়কের দাবিতে নেমেছে। তারা নিরাপদ সড়ক চায়। এটি রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি বাঁচার দাবি। আমরা এ আন্দোলনকে সমর্থন করি। এবং সরকারেরও সবগুলো দাবি মেনে নেয়া উচিত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর